দীর্ঘ চার বছর যাবৎ দামুড়হুদা রঘুনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের স্কুলফিল্ড দখল করে নিজস্ব কাজ চালিয়ে আসছে সাবেক চুয়াডাঙ্গা ২ আসনের এমপি হাজী আলী আজগার টগরের ভাই আরিফুল ইসলাম আরিফ।
স্কুল কর্তৃপক্ষ ও ম্যানেজিং কমিটি আরিফের ভয়ে ছিল নিরব। মুখ খুললেই বিপদ। দ্রুত স্কুল মাঠ থেকে পাথর ও তৈরি ব্লক অপসারণ করতে হবে। দীর্ঘদিন খেলার মাঠ দখল করার অপরাধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবেন কতৃপক্ষর নিকট এমনটাই দাবি এলাকাবাসীর।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সবেক চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সাংসদ সদস্য আলি আজগার টগর এমপির ভাই আরিফুল ইসলাম আরিফের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারিনি। চাপা কষ্টে দিনযাপন করতে হয়েছে।তারা যেটা করেছে সেটাই মাথানিচু করে সহ্য করেছে এলাকার জনসাধারণ । ছাত্র জনতার বৈষম্যবিরোধি আন্দোলনে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে সবেক এমপিসহ তার দশভাই এলাকা ছেড়েছে।তখনি গ্রামবাসী মুখ খুলতে শুরু করেছে।দীর্ঘ প্রায় ৪ বছর ধরে আরিফুল ইসলাম আরিফ ব্লক তৈরির জন্য রঘুনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠটি বেচে নেই।খেলার মাঠটি পরিনত হয় কারখানায়। ট্রাক বোঝায় পাথর মিকসার মেশিন খেলার মাঠটি নিজস্ব কারখানা করে কোমলমতি শিশুদের খেলাধুলা থেকে বিরত রাখে। এলাকার যুবকরা প্রতিনিয়ত ফুটবল খেলা করতো কিন্ত দীর্ঘ ৪ বছর ধরে আর ফুটবল খেলা করতে পারে না।এতে যুবসমাজ নষ্টর দিকে ধাবিত হচ্ছে।এ যুব সমাজকে বাঁচাতে আবার আগের মত ফিরে পাবে এমনটিই প্রত্যাশা এলাকাবাসীর।
গ্রামবাসীরা জানায়, সাবেক এমপির ভাই আরিফ নিজের ব্যবসার জন্য এলাকার খেলাপ্রেমি যুবকদের ধংশের পথে ঠেলে দিয়েছে।বিকাল হলে ছেলেরা আসতো ফুটবল খেলতে কিন্ত এই চার বছর ধরে আর ফুটবল খেলতে পারে না।এই বিকালের সময়টা যুবক ছেলেরা অন্য পথে সময় ব্যায় করে। এত দিন আমরা ভয়ে কিছু বলতে পারিনি। আর সহ্য করা যায় না। তাই খেলার মাঠটি পরিস্কার করে আবার ছেলেরা খেলা মুখি করতে হবে।যদি দূরুত্ব খেলার মাঠটি পরিস্কার না করা হয় তাহলে গণস্বাক্ষর নিয়ে মানববন্ধন করা হবে বলে হুশিয়ারি দেন। সেই সাথে সরকারি খেলার মাঠ দখল করার অপরাধে আইনের আশ্রয় নেওয়া হবে।
আরিফের ম্যানেজার জনি বলেন,আমি কথা বলে আপনাকে জানাবো নিউজ করার দরকার নাই। রঘুনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যনেজিং কমিটির সভাপতি সেলিম উদ্দিন বলেন রঘুনাথপুর এমপির গ্রাম আর তার ভাই এই কাজগুলো করছে। আমরা বারবার বলা সত্ত্বেও তাদের মত তারা কাজ চালিয়ে গেছে। আমাদের কথার কোন কর্নপাত করিনি।
রঘুনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মেরিনা খাতুন বলেন আমরা বারবার স্যারদেরকে জানাইছি সেই সাথে যারা এই কাজের সাথে সম্পৃক্ত তাদেরকেও জানিয়েছি কিন্তু কোন কাজ হয়নি। স্যাররা ভিজিটে আসে নিজের চোখে দেখে তারপরও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। আমাদের করার কি আছে। আমরা সব সময় ভয়ে ভয়ে চাকরি করেছি যদি বেশি চাপ দেই তাহলে হয়তো আমাদের এখানে চাকরি করা সম্ভব হতো না।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবু হাসান বলেন আমরা এতদিন জানতাম না আপনার কাছে জানলাম রঘুনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ জানালে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করতাম কিন্তু তিনি কখনোই লিখিতভাবে আমাদেরকে জানায়নি।
দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা বলেন আপনারা স্থানীয়ভাবে ওগুলো সরিয়ে ফেলতে পারেন তা না হলে প্রধান শিক্ষিকা আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।