দামুড়হুদায় মাদক সম্রাট জাহিদুল গ্যাং কতৃক আহত হওয়ায় ভূক্তভোগীর পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকাল ৫ টার সময় দামুড়হুদা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখত বক্তব্য পেশ করেন দামুড়হুদা উপজেলার সদর খাঁ পাড়া গ্রামের মতলেব আলী’র ছেলে আব্দুর রহিম।
সংবাদ সম্মেলনে আব্দুর রহিম বলেন, আমি যুব রেড ক্রিসেন্ট সৌসাইটির দামুড়হুদা উপজেলা যুব প্রধান হওয়ার কারণে বিভিন্ন সময়ে দূর্নিতী ও মাদকের বিরুদ্ধে সভা-সেমিনার করার কারণে ইয়াবা ও ফেন্সী সম্রাট জাহিদুল ইসলাম ইয়াবাসহ ধরা পড়ে। সেখানে মাদক সেবনের কারণে তাকে জেল ও জরিমানা করা হয়। তারা সন্দেহ করে যে, আমি আব্দুর রহিম তাদেরকে ধরিয়ে দিয়েছি। তারিই ফলশ্রুতিতে কয়েক বছর আগে আমাকে বিবাদীপক্ষ মোঃ জাহিদুল মেম্বার ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা মিলে আমাকে বেদম মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে। এরই সূত্র ধরে আমি বৈষম্য ছাত্র আন্দোলনে পত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দলনের নেতৃত্ব দেয় ফেসবুকসহ বিভিন্ন প্রোগ্রামে অংশ গ্রহন করি। যাহার ফলোশ্রুতিতে স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ সরকারের নেতাকর্মীরা ও যুবলীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম ও যুবলীগের সাবেক থানা সভাপতি তালেবসহ তার সাঙ্গ পাঙ্গোরা ভালোভাবে সেটা মেনে নিতে পারিনি। বিভিন্ন সময় আমাকে প্রাণনাশের হুমকি ধামকি দিয়ে আসিতেছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল সন্ধ্যা ৬ ঘটিকার সময় জাহিদুল মেম্বার ও তার ভাই তালেবের নেতৃত্বে আমাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তুলিয়া নিয়ে যাবার সময় আমার পিতা মতলেব আলী, ছোট ভাই আব্দুল করিম, বড় ভাই আব্দুর রহমান বাধা দিলে আমাদের সকলকে, রামদা ও দেশি অস্ত্র নিয়ে আমাদেরকে এলোপাতাড়িভাবে কুপায়।
এক পর্যায়ে আমার বড়ভাইয়ের মৃত্যু নিশ্চিত জানিয়া সকলে পলিয়ে যাই। ঘটনার বিবরনী দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানাই। তৎখনিক অফিসার ইনচার্জ পুলিশ সদস্যদের পাঠিয়ে আমাদেরকে রক্ষা করে ও হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করিয়া দেই এবং বলে তোমরা নির্দিষ্ট আসামীগনের পরিচয় দিয়ে থানায় এজাহার দায়ের কর। সেই মর্মে আমার ছোট ভাই আব্দুল করিম বাদী হয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ জানাই। তবে আজ সকালে আসামীরা সকলে মিলে আমার বাড়িতে মটর সাইকেলে অগ্নি সংযোগ করে পুড়িয়ে দেই। নায্য বিচার পাইবার জন্য সংবাদ সম্মেলনের ইচ্ছা পোষণ করি।