দামুড়হুদায় মারামারির ঘটনায় আহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে যুবলীগ নেতা জাহিদুল এর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করলো চুয়াডাঙ্গা জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ।
আজ শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
জানাগেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল ৫ টার সময় দামুড়হুদা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখত বক্তব্য পেশ করেন দামুড়হুদা উপজেলার সদর খাঁ পাড়া গ্রামের মতলেব আলী’র ছেলে আব্দুর রহিম। সংবাদ সম্মেলনে আব্দুর রহিম বলেন, আমি যুব রেড ক্রিসেন্ট সৌসাইটির দামুড়হুদা উপজেলা যুব প্রধান হওয়ার কারণে বিভিন্ন সময়ে দূর্নিতী ও মাদকের বিরুদ্ধে সভা-সেমিনার করার কারণে ইয়াবা ও ফেন্সী সম্রাট জাহিদুল ইসলাম ইয়াবাসহ ধরা পড়ে। সেখানে মাদক সেবনের কারণে তাকে জেল ও জরিমানা করা হয়। তারা সন্দেহ করে যে, আমি আব্দুর রহিম তাদেরকে ধরিয়ে দিয়েছি। এরই ধারাবাহিকতায় জাহিদুল মেম্বার ও তার ভাই তালেবের নেতৃত্বে আমাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তুলে নিয়ে যাবার সময় আমার পিতা মতলেব আলী, ছোট ভাই আব্দুল করিম, বড় ভাই আব্দুর রহমান বাধা দিলে আমাদের সকলকে, রামদা ও দেশি অস্ত্র নিয়ে আমাদেরকে এলোপাতাড়িভাবে কুপায়। এক পর্যায়ে আমার বড় ভাইয়ের মৃত্যু নিশ্চিত জানিয়া সকলে পলিয়ে যাই। পরে এঘটনায় আমার ছোট ভাই আব্দুল করিম বাদী হয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করে। এরই সুত্র ধরে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের একটি দল যুবলীগ নেতা জাহিদুল মেম্বার কে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের সামনে থেকে গ্রেফতার করে দামুড়হুদা মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।
এবিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আলমগীর কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। তাকে গতকালই চুয়াডাঙ্গা বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।