শীত নিরাময় করতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানের বাসিন্দারা আগাম প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এ প্রস্তুতি নিতে উপজেলার লেপ-তোষকের দোকান গুলোতে ভীড় জমতে লক্ষ্য করা গেছে। ভীড়কে কেন্দ্র করে ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে কারিগর সহ দোকান মালিকদেরকে।
দামুড়হুদা,উপজেলার প্রায় সকল লেপ- তোষকের দোকানে ক্রেতাদের উপস্থিতি থাকতে দেখা গেছে কমবেশি।কেউ যাচ্ছে ওর্ডার দিতে, আবার কেউ যাচ্ছেন নিদিষ্ট একটা মাপ দিয়ে কেমন মজুরি পড়বে জানতে। অবশ্য এবছরে অন্যআন্য মালামালের সাথে সাথে বেড়েছে লেপ তোষক তৈরির ব্যবহারের পন্য সামগ্রি।সেজন্য লেপের কাপড়, ফোম, মজুরির দামটাও একটু বেশি বলে বিক্রতা সহ ক্রেতাদের দাবি।
উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের জয়রামপুর কাঁঠাল তলা বাজারের লেপ ব্যবসায়ী আলী আজগার জানান, আমি প্রায় ২০ বছর ধরে এ পেশায় নিয়োজিত। এবার শীতে দোকানে প্রচুর পরিমাণে মানুষের ভিড় হচ্ছে, কিন্তু দাম একটু বেশি হাওয়ায় কাস্টমার ফিরে যাচ্ছে।
গত বারের তুলনায় এবার মালা মালের দাম বেশি,যে তুলা কিনতাম ১২০ টাকা কেজি সেই তুলা কিনতে হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি,আর যে কাপড় কিনতাম ৩০ টাকা গজ, এখন কিনতে হচ্ছে ৬০ টাকা গজ,সুকলা কিনতাম ২০ কেজির ব্যাল্ট ৪০০ টাকা এখন কিনতে হচ্ছে ৭০০ টাকায়। তিনি আরো বলেন, কারিগরদের আগে লেপ প্রতি হাজিরা দিতে হতো ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, এবছরে দিতে হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা।
কারিগর করিম হোসেন বলেন, আমি ১০ রকমের লেপ তোষক তৈরি করতে পারি। সিঙ্গেল লেপ বিক্রি করছি সর্বনিম্ন ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকা, ডাবল লেপ ১৫০০/৩০০০ টাকা। কিন্তু জিনিসের দাম একটু বেশি হাওয়ায় গতবারের তুলনায় এবার একটু বেচাকেনা কম হচ্ছে।
জয়রামপুর গ্রামের ডালিম হোসেন বলেন, আমি তিন টা লেপ তোষক অর্ডার দেওয়ার জন্য দোকানে গিয়ে ছিলাম কিন্তু এবারে দাম অনেক বেশি বলছে, দোকানদার বলছে আমরা কি করিবো যেমন দামে জিনিস পত্র কিনছি তেমন দামে বিক্রি করছি। তিনি আরো বলেন গত বছরে যে তোষক কিনে ছিলাম ১.৫০০ টাকায় এবার কিনতে হচ্ছে ২.৫০০ থেকে ৩.০০০ টাকায়।