দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর পুরাতন ঐতিহ্যবাহী রেল স্টেশনে গেট আছে কিন্তু গেটম্যান নাই, রেলওয়ের পথ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পারাপার হচ্ছে সাধারণ মানুষ গেটম্যান না থাকায় স্থানীয় লোকজন সব সময় আতঙ্কে রয়েছেন, এবং পথচারীরা বলছেন কখন রেল লাইনে ট্রেন আসবে এটাও কোন নির্দিষ্ট টাইম নাই। ট্রেন আসার আগেই গেট বন্ধ করবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে গেটম্যান, অথচ জয়রামপুর ষ্টেশনে একজনও গেটম্যান নেই। জয়রামপুর রেল স্টেশনের উপর দিয়ে প্রায় প্রতিদিন ১থেকে ২হাজার মানুষ পারাপার হয় এবং মটর সাইকেল সাইকেল পাখি ভ্যান প্রাইভেটকার ট্রাক পার হয়, এবং এই ঝুঁকিপূর্ণ দায় নেবে কে রেল কর্তৃপক্ষ না জনসাধারণ মানুষ, জয়রামপুর রেল স্টেশনের ট্রেন ক্রসিং থাকলেও নেই গেটম্যান, প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা এই রেল ক্রসিং গুলোতে মানুষ এবং যানবাহন পারাপার হতে গিয়ে প্রায়ই সময় প্রাণহানীসহ ঘটছে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
আজ বৃহস্পতিবার জয়রামপুর রেলস্টেশন গেটে আবারো একজন শারীরিক প্রতিবন্ধীর ট্রেনে কেটে মৃত্যু হয়েছে। বিকাল ৩ টা ৪০ মিনিটে সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। ট্রেনে কাটা প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর থানার অন্তর্গত সব্দালপুর লক্ষ্মীপুর গ্রামে বাড়ি নাম মুরাদ (৫৫)। নিহত মুরাদ শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী ছিলো। জীবন পরিচালনার জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষের কাছে সাহায্য সহযোগিতা নিয়ে জীবন চালায়। একইভাবে গত কয়েকদিন আগে জয়রামপুর রেলস্টেশনে প্লাটফর্মে এসে অবস্থান করে।আজ বৃহস্পতিবার দুপুরের খাবার খাওয়ার জন্য স্টেশন পারাপার হতে গিয়ে দ্রুতগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি ধাক্কা মেরে স্টেশন এর গেটের উপর থেকে ২০০ মিটার টেনে নিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন দেখে ট্রেন যাওয়ার পরেই ছুটে যায় আহত মুরাদের কাছে। যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই মুরাদ শেষ নিঃস্বাস ত্যাগ করে।
স্থানীয় লোকজন বলে মুরাদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে ক্ষতচিহ্ন দেখা যায় এবং দুই পা ভেঙ্গে গুড়িয়ে যায়, মাথার পিছনের অংশ কেটে অনেক বড় ক্ষত দেখা যায়। মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে স্থানীয় লোকজনের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, জয়রামপুর স্টেশনে দীর্ঘদিন গেটম্যান না থাকায় কয়েক বছর ধরে এখানে নানা দুর্ঘটনা ঘটে চলেছে। আজ যদি গেট ম্যান থাকতো তাহলে এমন দূর্ঘটনা ঘটতে পারতো না।
এ বিষয়ে রেলওয়ে পুলিশ সদস্য আতাউর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমরা খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। এখান থেকে মৃত ব্যক্তিকে দর্শনা পুলিশ ক্যাম্পে নিয়ে আইনি প্রক্রিয়ায় কার্যক্রম শেষে দাফন করার জন্য আত্মীয়-স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
রেলওয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছে এলাকার জন সাধারণ ও সচেতন মহল।