দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনার ছয়ঘরিয়ায় দুই মটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে হাউলী ইউনিয়নের জয়রামপুর কলোনি পাড়ার ফারুক হোসেনের ছেলে রায়হান উদ্দিন (৩০) ও পারকৃষ্ণপুর- মদনা ইউনিয়নের বাড়াদি গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে হৃদয় (২৫) মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলার ছয়ঘরিয়া গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের লাশ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা আছে। নিহত রায়হান উদ্দিন (৩০) দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর কলোনি পাড়ার ফারুক হোসেনের ছেলে, ও নিহত হৃদয় বাড়াদি গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে।
জানা যায়, রায়হান উদ্দিন একজন ইলেকট্রিক মিস্ত্রী বৃহস্পতিবার সকালে পারকৃষ্ণপুর- মদনা ইউনিয়নের বাড়াদি গ্রামে মামার বাড়ি কারেন্টর কাজ করার জন্য যায়। মামার বাসার প্রয়োজনীয় কারেন্টের মালামাল কেনাকাটা করতে মামাতো ভাই হৃদয়ের সাথে দর্শনা বাজারে আসার পথে দামুড়হুদা উপজেলার ছয়ঘরিয়া গ্রামের মাঝ পাড়া নামক স্থানএ পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা কালো রংয়ের সুজুকি জিকসার ১৫৫সিসি মটরসাইকেল দ্রুতগতিতে এসে ধাক্কা মারে, মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যায়।
এতে ইলেকট্রিক মিস্ত্রী রায়হান উদ্দিন ও তার মামাতো ভাই হৃদয় গুরুতরভাবে আহত হলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রায়হান উদ্দিন কে মৃত ঘোষণা করেন। ও মামাতো ভাই হৃদয়ের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কুষ্টিয়ায় রেফার্ড করে এম্বুলেন্স যোগে কুষ্টিয়া যাওয়ার পথে হৃদয় মারা যায়। ঘাতক চালককে এখনো সনাক্ত করতে পারিনি পুলিশ।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক নুরজাহান রুমি জানান, দুপুরে মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় গুরুতর রক্তাক্ত জখমকৃত দুজনকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে রায়হান নামে এক জনের মৃত্যু হয়। পরে রক্তাক্ত জখম হৃদয়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে কে রেফার্ড করা হয় কুষ্টিয়া যাওয়ার পথে সেও মারা যায়। ময়নাতদন্ত শেষে মৃত ব্যক্তিদের লাশ দুটো তাদের আত্মীয় সজন দের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ এ এইচ এম লুৎফুল কবীর।