দামুড়হুদা উপজেলায় উৎসবমুখর পরিবেশে প্রতিমা বিসর্জন সম্পন্ন হয়েছে। শারদীয় দুর্গোৎসবের শেষ দিন আজ রোববার (১৩ অক্টোবর) বিকাল ৫ টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা।
দামুড়হুদা উপজেলায় ২০টি মণ্ডপে সকাল থেকে শুরু হয় প্রতিমা বিসর্জনের প্রস্তুতি। আরতি, শোভাযাত্রাসহ অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়েছে। কোথায়ও কোন অপ্রিতীকর ঘটনার তথ্য পাওয়া যায়নি।
বিসর্জন উৎসবমুখর ও নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে, প্রস্তুত ছিল পুলিশ, সেনাবাহিনী, আনসার, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সহ বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা, এবার দামুড়হুদা উপজেলায় ২২ টির মধ্যে ২০টি মন্ডপে দুর্গাৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
চিৎলা শ্রী শ্রী সার্বজনীন পূজা মন্ডপের সভাপতি মদন কুমার হালদার বলেন আমরা গত ৯ অক্টোবর থেকে প্রতিমা বিসর্জন পর্যন্ত উৎসবমুখর পরিবেশে পূজা উদযাপন করেছি। কোন সমস্যার সম্মুখীন হয়নি।
দামুড়হুদা উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক বাসুদেব হালদার বলেন এবার উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্যে দিয়ে দুর্গাৎসব সম্পন্ন করতে পেরেছি। কৃতজ্ঞতা জানাই প্রশাসনসহ সকল শুভানুধ্যায়ীর প্রতি।
দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর কবীর বলেন, প্রশাসনের কঠোর নজরদারির মধ্য দিয়ে সুশৃংখল উৎসবমুখর পরিবেশে এবার শারদীয় দুর্গাৎসব উৎসব সম্পন্ন হয়েছে।
দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ মহল বলেন জেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা ও নিরাপত্তায় নিয়োজিত সকল আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কঠোর নজরদারির মধ্য দিয়ে আমার উপজেলায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশে শারদীয় দুর্গাৎসব সম্পন্ন করতে পেরেছি। কোথায় ও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
হিন্দুধর্ম মতে, মহালয়ার দিন ‘কন্যারূপে’ ধরায় আসেন দশভুজা দেবী দুর্গা, বিসর্জনের মধ্য দিয়ে তাকে এক বছরের জন্য বিদায় জানানো হয়। তার এই ‘আগমন ও প্রস্থানের’ মধ্যে আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী থেকে দশমী তিথি পর্যন্ত পাঁচ দিন চলে দুর্গোৎসব। দোলায় বা পালকিতে আগমনের পর এবার দেবী দুর্গার গমন হচ্ছে ঘোটক বা ঘোড়ায় চড়ে।