দামুড়হুদায় ন্যায় বিচার পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছে রবিউল ইসলাম বাবলু’র পরিবার। আজ সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টার সময় দামুড়হুদা প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রবিউল ইসলাম বাবলু’র ছোট ছেলে মোঃ মাসুম হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানাগেছে, দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর কলোনী পাড়ার মোঃ আবুল কাশেম এর ছেলে মোঃ রবিউল ইসলাম বাবলু বিগত অনুমান ০২ বছর পূর্বে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অন্তর্গত উক্ত নতুন পাড়ার মোঃ আমির বিশ্বাস এর ছেলে মোঃ জাকির (৪২) এর কাছ থেকে দামুড়হুদা থানাধীন পরানপুর গ্রামস্থ মাঠে ১৪,০০,০০০/- (চৌদ্দ লক্ষ) টাকার বিনিময়ে ০৫ বিঘা পেঁপে বাগানসহ জমি লীজ গ্রহণ করে। টাকা ফেরত প্রদান করলে সে তার জমি ফেরত নিবে মর্মে অঙ্গিকার করে স্ট্যাম্পে লিখত করে দেন। কিন্তু হঠাৎ করে দুর্বৃত্ত জাকির চুক্তিনামা থেকে আরও ৩,০০,০০০/- (তিন লক্ষ) টাকা বেশি দাবী করছে। আমার পিতা দিতে অস্বীকৃত জানালে দুর্বৃত্ত জাকির সহ অজ্ঞাতনামা ১৪/১৫ জন দুর্বৃত্তরা আমাদের সামনে বলে টাকা না দিলে পেঁপে বাগান কেটে দেবো এবং বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন লোকজনের নিকট বলে বেড়ায় পেঁপে বাগান কেটে দেবো। এরই ধারাবাহিকভায় গত ইং ১১/০৬/২০২৩ তারিখ ভোর অনুমান সাড়ে ৬ টার দিকে আমার পিতা উক্ত পেঁপে বাগানে গেলে দেখতে পাই যে ০৪ বিঘা পেঁপে গাছ সব দুর্বৃত্তরা কেটে দিয়েছে। আমাদের পেঁপে গাছগুলিতে ধরন্ত ফল ছিল। এমতাবস্থায় আমরা খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারি ভোরবেলা মর্নিং ওয়ার্ক করা বেশ কয়েকজন স্বাক্ষী দেখেছে দূর্বৃত্ত জাকির সহ অজ্ঞাতনামা ১৪/১৫ জন দুর্বৃত্তরা পেঁপে বাগান কেটে হাতে হাসুয়া নিয়ে চলে যাচ্ছে। তখন স্বাক্ষীদের মাধ্যমে জানতে পারি জাকির সহ অজ্ঞাতনামারা ফসল নষ্ট করে এই জঘন্যতম কাজ করেছে।
ইহাতে আমাদের প্রায় আনুমানিক- ২০,০০,০০০/- (বিশ লক্ষ) টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হইয়াছে। ঘটনার পর স্থানীয় পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল এসপি) জাকিয়া সুলতানা ও দামুড়হুদা মডেল থানার তখনকার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সাইফুল ইসলাম ঘটনার তদন্ত করে এর সত্যতা পায়। তখনকার আওয়ামী লীগের এমপি টগরের প্রভাব খাটিয়ে দূর্বৃত্ত জাকির হোসেন তখন পার পেয়ে যায়। তখন থেকেই জমি আমারা দখলে রেখে চাষাবাদ করছি। এই ঘটনা জাকিরের শ্বশুর জমির আসল মালিক দর্শনা মল্লিক পাড়ার (বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা মল্লিক পড়ায় বসবাসরত) মৃত শামছাদী মুহুরীর ছেলে মোঃ ছাবদার হোসেন এবং জাকিরের স্ত্রী ও ছাবদার হোসেনের মেয়ে মোছাঃ নিলুফা ইয়াসমিন সহ তাদের পড়িবারের সবাই সবকিছুই জানতো। সে সময় জমির মালিক ছাবদার হোসেন উক্ত জমি তার একমাত্র জামাই জাকির কে চাষাবাদের জন্য দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে ০৩-০৯-২০২২ ইং তারিখে জাকির আমার পিতার কাছে উক্ত জমি বন্ধক দেয়। দীর্ঘ দিন জমির টাকা ফেরত না দেওয়ার কারনে মৌখিক ভাবে জানিয়ে নতুন করে ৩১/১০/২০২৪ ইং তারিখে দামুড়হুদা উপজেলাধীন পরানপুর গ্রামের ঝড়ু মন্ডলের ছেলে মিন্টু ও রহমান এবং কাবিল হোসেনের ছেলে ইস্তা দেনাকে ৫০,০০০/-(পঞ্চাশ হাজার) টাকায় ভূট্টা চাষ করার জন্য লীজ প্রদান করি। কিন্তু জাকির ও তার শশুর ছাবদার উক্ত জমির বিষয়ে নিজের স্ত্রী ও মেয়ে মোছাঃ নিলুফা ইয়াসমিন কে দিয়ে গত ০২/১১/২০২৪ ইং তারিখে চুয়াডাঙ্গায় একটি সংবাদ সম্মেলন করেন ঐ জমিতে নাকি জোর পূর্বক ভুট্টার চাষ হচ্ছে।
যা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। আমাদের টাকা ফেরত না দেওয়ার পায়তারায় লিপ্ত হয়েছে জাকির ও তার শ্বশুর। তারা চাই আমাদের ১৪ লক্ষ টাকা ফেরত না দিয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে টাকা বাদেই জমি ফেরত নিতে। মাসুম তার বক্তব্যে আরও বলেন, টাকা ফেরত না দিয়ে একের পর এক মিথ্যা অপপ্রচার মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে আমার পিতাকে শারিরীক ভাবে অসুস্থ করে তুলেছে। আমি সাংবাদিক মহলের মাধ্যমে বলতে চাই, আমার পিতার লীজ নেওয়া জমির ১৪ লক্ষ টাকা ফেরত দিয়ে জাকির বা তার শ্বশুর তাদের জমি বুঝে নেন। আমরা আর তার জমি লীজে রাখতে চাইনা, টাকা ফেরত দিয়ে জমি ফেরত নেন। কারন আমরা যখন জমি লীজ নিই তখন সব বিষয়ে তার শ্বশুর এবং তাদের পরিবারের মানুষ জানতো। তা সত্ত্বেও তারা মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ তুলে আমার পিতা আমার পরিবারের সদস্যসহ আত্মীয়-স্বজনদেরকে সমাজের মানুষের কাছে হেয় প্রতিপন্ন করছে।
কাগজপত্র দেখে সঠিকভাবে যেন বিষয়টির সঠিক সমাধান হয় সেজন্য আমি সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।