দামুড়হুদায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের হস্তক্ষেপে দীর্ঘ ২ বছরেরও বেশী সময়ের সমস্যা নিরসন করা হয়েছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ পেয়ে আজ শুক্রবার দুপুর ৩টার দিকে সেনাবাহিনীর একটি দল ও দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আলমগীর কবির এর মধ্যস্থতাই সমস্যার সমাধান হয়।
জানাগেছে, দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে দামুড়হুদা উপজেলা সদরের দশমী পাড়ার আনসার আলীর ছেলে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ শরিফুল আলম, আব্দুল মান্নান এর ছেলে মোঃ সেলিম উদ্দিন, আবুল হোসেন এর ছেলে মোঃ মজিবর রহমান এবং ঝিনাইদাহ জেলার শৈলকূপা থানা অন্তর্গত সমিরুদ্দিন বিশ্বাস এর ছেলে মোঃ আব্দুল খালেক দামুড়হুদা ফিলিং স্টেশনের স্বত্বাধিকারী মোঃ শাহজাহান আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে এই মর্মে যে, দামুড়হুদা ফিলিং স্টেশনটি শরিফুল আলম লিজ নেয়। কিন্তু শরিফুল আলম এ ব্যবসা না বোঝার কারনে শাহজাহান বলে আমি ব্যবসা করে দিচ্ছি, তোমরা মুলধন দিয়ে ব্যবসা চালু করে দাও। সে মোতাবেক ভুক্তভোগী চারজনের কাছ থেকে বিভিন্ন কৌশলে পাম্প মালিক শাহজাহান প্রায় দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। প্রাপ্ত টাকার পরিমান শরিফুল আলম ৬০ লক্ষ, আব্দুল খালেক ২৯ লক্ষ, সেলিম উদ্দিন দামুড়হুদা ফিলিং স্টেশনের জমির অর্ধেক অংশের মালিক, মজিবর রহমান ৪৫ লক্ষ। এতো টাকা ইনভেস্ট করে ব্যবসা ভালোই চলে কিন্তু শাহজাহান ব্যবসার কোন লভ্যাংশ কাউকে দেয়না। এক শাহজাহান এর কারনে চার জনই আর্থিক সমস্যায় পড়েন। এক পর্যায়ে পাওনাদাররা টাকা ফেরত চাইলে শাহজাহান বিভিন্ন ভাবে ঘোরাতে থাকে।
পাওনাদার তাদের টাকা দেয়ার জন্য আজ শুক্রবার সকাল থেকে পাম্পের অবস্থান নেয়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার আসংখ্যা হতে পারে। এমন সংবাদ পেয়ে সেখানে দামুড়হুদা থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনী উপস্থিত হয়। পরে উভয় পক্ষের অভিযোগ পর্যালোচনা করে আগামী ৩১ অক্টোবর উল্লেখিত টাকা পরিশোধ করার অঙ্গীকার করে লিখিত দেয় পাম্প মালিক শাহজাহান। অন্যথায় শাহাজাহান তার দামুড়হুদা ফিলিং স্টেশন (তেল পাম্প) মোঃ শরিফুল আলম কে দিয়ে দেবে মর্মে অঙ্গিকার করে রেহায় পায়।