দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ভৈরব নদী থেকে ড্রেজার মেশিন ভিড়িয়ে বালি উত্তোলন করছিলো কার্পাসডাঙ্গা গ্রামের মৃত আলী খাবলির ছেলে জাব্বার খাবলী,হুদা পাড়ার নাজমুল হাসান গেগার ও কার্পাসডাঙ্গা ভূমিহীনপাড়ার লাবু। বিষয়টি নিয়ে মাস খানেক পূর্বে স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে নড়েচড়ে বসে উপজেলা প্রশাসন।
দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)সজল কুমার দাসের নেতৃত্বে বালি উত্তোলনের ড্রেজার মেশিন জব্দ করে তা ইউনিয়ন পরিষদে রাখা হয় ও উত্তোলন কৃত বালি জব্দ করা হয়।
আজ রোববার সকাল ১২ টার দিকে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর দামুড়হুদা উপজেলা প্রকৌশলী মো:আব্দুর রশিদ নিলাম পক্রিয়ার প্রধান হয়ে ১০ টি প্লাস্টিক ড্রাম,২ টি ইউপিভিসি পাইপ,২ টি ফ্লাক্সিবেল পাইপ,২ টি ডিজেল স্টার্ট,২ টি চায়না শ্যালো মেশিন ও ৮৬৮৭.৬০ সিএফটি বালির নিলাম ডাকার পক্রিয়া শুরু হয়।নিলামে অংশ গ্রহনের পূর্বে ডাকে অংশগ্রহনকারীরা সহ স্থানীয় অনেকে নিলাম কমিটিকে অবহিত করে ভৈরবনদীতে জব্দকৃত ৩ টি স্তুপের বালির পরিমান আনুমানিক প্রায় ২ হাজার গাড়ি।অথচ সেখানে যে পরিমান বালি দেখানো হয়েছে তা মাত্র ৭০ গাড়ি হবে। নিলামে সঠিক তথ্য গোপন করে ও বালির মাপ একেবারে কম দেখিয়ে পুকুর চুরির ঘটনা ঘটছে।
নিলাম কমিটি সহ এর সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য মানববন্ধন হবে এমন হট্টগোল শুরু হলে নিলাম কমিটি কিছুক্ষন সময় চেয়ে বিষয়টা জেনে তারপর নিলাম পক্রিয়া শুরু হবে বলে জানান। কিছুক্ষন পর উপজেলা প্রকৌশলী ও নিলাম কমিটি প্রধান মো:আব্দুর রশিদ বলেন আমরা পুনরায় সরেজমিন যাচাই বাছাই করে তারপর লোকেশন ঠিক করে আবারো প্রকাশ্য নিলামের তারিখ জানানো হবে।এসময় তিনি আরো জানান আগামীতে যখন প্রকাশ্য যখন নিলাম ডাকা হবে তখন নোটিশ করা হবে ও মাইকিং এর ব্যাবস্থা করা হবে।
স্থানীয় এলাকাবাসী সহ সচেতন মহলের জোর দাবী বালি উত্তোলনের সাথে জড়িতরা যাতে প্রকাশ্য নিলামে অংশ গ্রহন করতে না পারে ও বালির সঠিক মাপের মাধ্যমে স্বচ্ছ পত্রিকায় প্রকাশ্য নিলাম অনুষ্ঠিত হয় তার সুব্যাবস্থা করতে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা’র আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী সহ সচেতন মহল।
প্রকাশ্য নিলামে কোন ধরনের মিথ্যা তথ্যা বা সঠিক চিত্র তুলে ধরা না হলে এলাকায় মানববন্ধন সহ বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষনা দেন এলাকাবাসী।