ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতে দামুড়হুদা উপজেলায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গত সোমবার থেকে সুর্যের দেখা মেলেনি। ফলে শহর ও গ্রাম-গঞ্জের জনজীবন কাহিল হয়ে পড়েছে। তীব্র শীতে ও ঘন কুয়াশায় রাস্তাঘাটে যানবাহন ও মানুষ চলাচল কমে গেছে। হাতে কাজ না থাকায় অভাবী মানুষের ঘরে খাদ্যাভাব দেখা দিয়েছে। শীতবস্ত্রের অভাবে হত-দরিদ্র মানুষগুলো চরম কষ্টে ছেলে মেয়েদের নিয়ে দিনাতিপাত করছে।
উপজেলায় ৭ ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভায় তীব্র শীতের কারণে গ্রামাঞ্চলের নিন্ম আয়ের মানুষ পড়েছে সবচেয়ে বেকায়দায় । গতকাল সোমবার দিনভর মৃদু কুয়াশা ছিল এবং সুর্যের আলো ঘন্টা খানেক দেখা দিলেও আজ মঙ্গলবার শীতের তীব্রতা আরো বৃদ্ধি জনজীবনে বিপর্যস্ত করে তুলেছে এমনকি সারাদিন শৈত্য প্রবাহের কারণে সুর্যের আলো দেখা যায়নি । সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে যায় গোটা উপজেলা।
সন্ধ্যার পর থেকে কুয়াশার ঘনত্ব বাড়ে। রাত ১০টার পর ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে যায় পুরো এলাকা। একই অবস্থা মঙ্গলবার সারা দিন হিমেল হাওয়ার কারণে রাস্তা ঘাট ছিল ফাকা। ফলে বিপণি-বিতান, কোলাহলপূর্ণ স্থানগুলোতে লোকজন তুলনা মুলক অনেক কম।
কুয়াশা আর তীব্র শীতের কারণে হতদরীদ্র মানুষগুলো আগুন জালিয়ে শীত নিবারণ করছে। এলাকায় ঘন কুয়াশা ও শীতের তীব্রতা আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয়ে যায় শহর ও গ্রাম। ফুটপাতের সবজি, মাছ, ফলমূল ও শীতের কাপড় ব্যবসায়ীরা বেচা-কেনা না থাকায় তারা দোকান গুছিয়ে বাড়ি চলে গেছেন। রিকশাচালক, অটোরিকশা চালকরাও ভাড়ার আশায় আর বসে থাকছেন না।
জেলা আবহাওয়া অফিস সুত্রে জানা যায়, এ সপ্তাহে জুড়ে আবহাওয়ার কোন পরিবর্তন হবে না। রাতের তাপমাত্রা আরো কুমে যাবে। কুয়াশা আরও দু-একদিন থাকতে পারে বলে জানা যায়।