দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের কদিপুর মরাগাং এর মাছ লুট করে নিয়েছে এলাকার কিছু চিহ্নিত দুর্বৃত্তরা। গতকাল শনিবার সকাল ৬টার দিকে মরাগং এ বেড়ী জাল ফেলে সব মাছ লুট করে নেয় তারা। মাছ লুটের ঘটনায় কাদিপুর গ্রামে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোনো সময় ঘটতে পারে গ্রামবাসীর সঙ্গে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, কাদিপুর মরা গাংটি জনগণের জন্য উন্মুক্ত। ওই গাং এ ব্যক্তিগতভাবে মাছ চাষের কোন সুযোগ নেই। গাংটি কাউকে সরকারি ভাবে ইজারা দেওয়া হয়নি। গাংটি দীর্ঘদিন উন্মুক্ত ছিল। গাংটি কাউকে ইজারা না দেওয়ার কারণে দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসন জনগণের জন্য উন্মুক্ত রেখেছেন। কিন্তু সরকারের নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে উপজেলা প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কাদিপুর গ্রামের সোলাইমান হকের ছেলে ওসমান (৪৫), ইসমাইল হোসেনের ছেলে ফারুক হোসেন (৩৮), মৃত জামাত আলীর ছেলে কামাল হোসেন (৪২), সাদেক আলীর জামাই হাফিজুল (৪৪), ভাগ্যিবান এর ছেলে মুনশাদ (৪৩), আব্দুর রহিমের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক (৩৭), ইন্তাজ মাওলানার ছেলে আসাদুল হক (৪০) এসব মাছ লুট করছে বলে একাধিক প্রাপ্ত তথ্যে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
গতকাল ভোর বেলা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত তারা এসব মাছ লুট করে। এসময় স্থানীয়রা বাধা দিলেও তাতে তারা কোন কর্ণপাত করেনি। তাদেরকে ভয় ভীতি দেখিয়ে মরা গাং এর মাছ লুট করে নেয়।
এবিষয়ে ওসমান বলেন, আমরাই মাছ ছেড়েছিলাম আমরাই মাছ ধরে নিয়েছি। আবারও মাছ ছাড়বো।
এ বিষয়ে মুনসাদ বলেন, আমিও গাং এ পার্টনার ছিলাম। আমাদের মাছ আমরা ধরে নিয়েছি। গাংটি কার কাছ থেকে লিজ নিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারিনী পুর গ্রাম এবং বাস্তব পুর গ্রামের মানুষজনের কাছ থেকে লিজ নিয়েছি। কাদেরকে লিজের টাকা দিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এবার ঝামেলার কারণে কাউকে টাকা দেয়া হয়নি।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য শাহ জামাল বলেন, সবাই জানে গাংটি উন্মুক্ত। শত শত গ্রামবাসীর মধ্যে থেকেই সকলের সামনে গাং’র মাছ লুট করে নিয়ে যায়। তারা দুইদিন অর্থাৎ শুক্রবার ভোরে এবং শনিবার ভোরে মাছ লুট করে। শুক্রবার ভোরে যে মাছ ধরেছিল সেই মাছ ৩২ হাজার টাকায় বিক্রি করেছে বলে জানতে পেরেছি। গতকাল শনিবার যে মাছ ধরেছিল সেই মাছ কত টাকায় বেচাকেনা হয়েছে তা জানিনা।
উন্মুক্ত গাং’র মাছ এভাবে লুট করে নিয়ে গেলে যে কোন সময় গ্রামবাসীর সঙ্গে একটা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে বলে জানান তিনি। গাংটি যখন কারো নামে সরকার লিজ দেইনি তাহলে গাং’র মাছ লুট করলে যেকোনো সময় গ্রামবাসীর সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়বেন তারা। তিনি আরো বলেন আজ ভোরেও আবারো মাছ লুট হতে পারে বলে শুনেছি।
এ বিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সানজিদা বেগম বলেন, ঘটনাটি শুনেছি আমি, বিষয়টি দেখছি।