দামুড়হুদা উপজেলার কার্পসডাঙ্গায় সরকারি খাঁস জমি দখল করে দোকান ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। বেশ কয়েক দিন ধরে চলছে ৩২ টি দোকান ঘর নির্মাণের কাজ। ইতোমধ্যে বেশ কিছু ঘরের কাজ প্রায় শেষের পথে, ও বেশ কিছু নির্মাণ কাজ চলছে।
গত শনিবারের মধ্যে সকল দখলদারদের অবৈধ ঘর অপসারণের নির্দেশ দেন উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে অবৈধ ঘর নির্মাণ অপসরণ করা হয়নি বলে জানা গেছে।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানা যায়, উপজেলার কার্পাসডাঙ্গায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স এর পিছনে, ১৪৯৮ দাগে প্রায় ১৪ একর খাস জমি রয়েছে। গত বেশ কয় এক দিন ধরে ঐ জমিতে স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা, সংবাদ কর্মী ও কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক বাহারু ইসলামসহ প্রায় ১০/১৫জন জমি দখল করে ৩২ টি অবৈধভাবে দোকান ঘর নির্মাণ করছেন।
এ সংক্রান্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমান ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ম্যাজিস্টেট সুদীপ্ত কুমার সিংহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলে ঘটনার সতত্যা পান।
এ সময় ঘটনাস্থল পরিদর্শন কালে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের গত শনিবার বেধে দেওয়া নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সকল অবৈধ দখল অপসারণ করা না হলে অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আইন গত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে সকলকে অবহিত করে নির্দেশ প্রধান করলেও আইন লঙ্ঘন করে একই ভাবে দখলদাররা খাস জমি দখলে রেখে অবৈধ দখলদাররা তাদের কার্যক্রম চালানোর পায়তারা করছেন।
এ বিষয়ে সচেতন মহল বলছেন, কার্পাসডাঙ্গায় প্রভাবশালীদের মধ্যে সম্পত্তির ভাগ- বাটরা চলছে। উপজেলার কার্পাসডাঙ্গায় বিষয়টি বর্তমানে টপ অব দ্যা ভিলেজে পরিণত হয়েছে।
এ বিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলার নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমানের নিকট মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমরা দ্রুত আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।
উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে থেকে অবৈধ দখল অপসারণের কথা বলা হলেও দখলদারা তা না মেনে আইন লঙ্ঘন করেছেন সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, অবৈধ দখল অপসারণের জন্য সরোজিনে আমি ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) পরিদর্শন কালে দখলদারদের মৌলিক ভাবে অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। নির্দেশ অমান্য করে অবৈধ ঘর দখলকারীরা যেই হোক না কেন, তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে