খাদ্যের সন্ধানে দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গায় এলাকার দলছুট হুনুমান এখন কার্পাসডাঙ্গা বাজারে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। তারা খাদ্যের সন্ধানে নিরাপদ আশ্রয়স্থল খুঁজতে লোকালয়ে সারাক্ষণ ছুটোছুটি করছে।
হুনুমান দেখতে অতি উৎসাহী লোকেরা, বিশেষ করে শিশুরা এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে তাড়িয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে। অনেকে আবার ইটের টুকরা, ঢিল ছুড়ছে তাদের উপর। একটু সময়ও তারা মাটিতে স্বস্তিতে হাটতে পারছেনা। আবার অনেক যুবক কিংবা শিশুরা কুকুর লেলিয়ে দিচ্ছে। উপায়ান্তর না পেয়ে এক বাড়ি থেকে আরেক বাড়ির ছাদে কিংবা উচু গাছের মগ ডালে বসে দিন কাটাচ্ছে।
তবে শহরে অনেক স্বস্তিতে এক ছাদ থেকে আর এক ছাদে অবাধে ঘুরে বেড়াতে দেখা যাচ্ছে। আগে হুনুমান দেখলে মানুষ আদর করে খাবার দিত। এখন খাবারের বদলে তাদের পেতে হয় ইট-পাথর। তবে অনেক সময় হুনুমান রেগে গিয়ে দাঁত সিটকে কামড়াতে তেড়ে আসে। অনেক সময় প্রচন্ড খিদের তাড়নায় তারা দোকানে কিংবা বাড়িতে হাজির হচ্ছে। কলা অথবা একটুকরা পাউরুটি দিলে আবার চলে যায়। বেশির ভাগ সময় এরা দল বেধে আবার দুজনে এক সাথে চলে।
কেশবপুর হুনুমানদের সরকারিভাবে খাবার দেওয়া হয়। কিন্তু স্থানীয়রা বলছেন সেটা অপ্রতুল হবার কারণে ক্ষুধার তাড়নায় এরা বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। পল্লী চিকিৎসক রবিউল হক জানান আমরা মানুষ, তিনবেলা খাবার খায়, কিন্তু বন্যপ্রাণী হুনুমান বলতে পারে না, মুখ পানে চেয়ে থাকেন। তাই আমি প্রতিদিন বিকালে ৫/৬ টি হুনুমানের ( কলা- পাউরুটি) খাবারের ব্যবস্থা করি। দামুড়হুদা উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার ডা. মশিউর রহমান বলেন দলছুট হুনুমান শুধু কার্পাসডাঙ্গাতেই নয়। অনেক সময় বন্যা কিংবা খাবারের অভাব দেখা দিলে এক এলাকা থেকে অন্য এলাকা যেমন সীমান্তবর্তী ভারত থেকেও অনেক হুনুমান সীমান্ত পেরিয়ে আমাদের দেশে খাদ্যর সন্ধানে চলে আসে।