দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গার পুলিশ ফাঁড়িতে সবজি চাষে পুলিশ সদস্যদের সাফল্য এসেছে। কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়িতে পতিত জমিতে মৌসুমি সবজির চাষে সফলতা পেয়েছেন পুলিশ সদস্যরা। আর চাষ করা এসব সবজি দিয়েই চাহিদা মিটছে তাদের।
কার্পাসডাঙ্গা ফাঁড়ির আইসি এসআই আতিকুর রহমান জুয়েল বলেন, অন্যান্য পুলিশ সদস্যদের নিয়ে চাষ করেছি বিভিন্ন প্রকার শাক-সবজি। এমন উদ্যোগকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন অন্য পুলিশ সদস্যরা। পুলিশের দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি চাষ করা সবজির পরিচর্যাও করে থাকি আমরা।
মূলত ফাঁড়ির পতিত জমিকে সঠিকভাবে ব্যবহারের জন্য সবজির চাষকে বেছে নেওয়া হয়। এছাড়াও চাষ করা বিষমুক্ত সবজি পুলিশ সদস্যদের পুষ্টির চাহিদাও পূরণ করছে। যখন যে সুযোগ পাচ্ছি ঠিক তখনই এই সবজির বাগানের পরিচর্যায় সময় দিচ্ছি। আর বাগানটি দেখভাল করে থাকে আবু তালেব। তিনি বাগানে প্রচুর সময় দেই। সঠিকভাবে পরিচর্যা করার কারণে ফলনও বেশ ভালো হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ফাঁড়িতে সুসজ্জিত সবজির বাগানের বিভিন্ন অংশে চাষ করা হয়েছে পেঁপে, বেগুন, ঢেঁড়স, মিষ্টি কুমড়া, চাল কুমড়া, ঝাল, লেবু, লালশাক, কলমিশাকসহ নানা রকমের শাক-সবজির। নিয়মিত পরিচর্যা করার ফলে এসব সবজির ফলন বেশ ভালো হয়েছে।
সময় অনুযায়ী বিভিন্ন পুলিশ সদস্য এই সবজির বাগান পরিচর্যা করে থাকেন। এ বাগানে সব মিলিয়ে প্রায় ১৫ ধরণের সবজির চাষ রয়েছে। এএসআই রওশন আলী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক কোন স্থান যাতে পতিত না থাকে সেই চিন্তা থেকেই ফাঁড়ির পতিত জমিতে শাক-সবজির চাষ করার উদ্যোগ নিয়েছি আমরা।
আমাদের সুবিধামতো সময়ে চাষ করা সবজিগুলোর পরিচর্যা করে থাকি। এখানকার উৎপাদিত সবজি আমাদের ম্যাচে রাস্তা হয়ে থাকে। এসব সবজি চাষের ব্যাপারে কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। মূলত ফাঁড়িতে এসআই মেজবাহুর রহমান থাকা কালিন সময়ে তিনি এই শাক – সবজি চাষের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তার প্রচেষ্টায় এই বাগানটি হয়েছে।