দামুড়হুদা উপজলায় সরকারি প্রায় ৩০টি গাছ কেটে বিক্রি করেছে উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামর রিয়াজুল ইসলাম, আতিয়ার রহমান, হারুণ মােল্লা ও তাজুল মুহুরীর বিরুদ্ধে। উপজেলার কুড়ালগাছি ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামে।
গতকাল বৃহস্পতিবার এ ঘটনা ঘট। অভিযুক্তরা সবাই একই গ্রামের বাসিন্দা। গাছ কাটার খবর পেয় কুড়লগাছি ভুমি অফিসের সহকারী ভুমি কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম দ্রুত ঘটনাস্হলে গিয়ে অর্ধেক গাছ জব্দ করেন এবং অর্ধেক গাছ অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে গাছ মালিক।
স্থানীয় লােকজন সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার চন্ডিপুর কবরস্থান মাঠ পাড়ার পাশের ৩০টি মেহগনি গাছ ছিল। ওই গাছগুলা রিয়াজুল ইসলাম, আতিয়ার রহমান, হারুণ মাল্লা ও তাজুল মুহুরীর জমির পাশে থাকায় তারাযুক্তি করে নিজেরাই কেটে বিক্রি করে দেন। যার আনুমানিক মুল্য লক্ষ্যধিক টাকা।
উপজেলার কুড়লগাছি ইউনিয়ন ভুমি অফিসের সহকারী ভুমি কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে অর্ধেক গাছ জব্দ করি এবং অর্ধেক গাছ অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে তারা । তারা তাদের জমির ধারে থাকায় কেট বিক্রি করেছে। বিষয়টি আড়াল করতে অনেক গাছের গােড়ার অংশ মাটি দিয়ে ঢেক দেওয়া হয়েছে। আগামী সােমবার জমির মাপ হবে তার আগ পর্যন্ত গাছ গুলা ঐখানেই থাকবে। যদি রাস্তার ভিতর হয় তাহল আমরা তাদর বিরুদ্ধ আইনি ব্যবস্থা নেবার জন্য উপজলা নির্বাহি অফিসার কাছ সুপারিশ করবাে।
অভিযুক্ত রিয়াজুল ইসলাম, আতিয়ার রহমান, হারুণ মাল্লা ও তাজুল মুহুরীর জানান, আমার জমির পাশে গাছগুলা থাকায় কেটছি। এখন বিষয়টি নিয়ে একটু ঝামেলা হচ্ছে। তব গাছ কাটার আগে আমাদেরক আমিন নিয়ে এসে জমি মেপে গাছ কাটতে হতাে। আমাদের ভুল হয়েছে। শুনলাম পিচ রাস্তা হবে তাই আমরা গাছগুলা কেটে বিক্রি করি।
এ বিষয়ে কুড়লগাছি ইউনিয়ন পরিষদর চেয়ারম্যান কামাল উদ্দীন বলেন, আগামি সােমবার ঐরাস্তার মাপ আমিন দিয়ে মাপ যোপ করা হবে । সিদান্ত না হওয়া পর্যন্ত কাটা গাছ জমিতেই থাকবে।
এ ব্যাপার দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজল কুমার দাস বলেন, আমি এইমাত্র শুলনাম অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।