দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের পীরপুরকুল্লা গ্রামে বিয়ের ৫ দিনের মাথায় ঘরে স্বামী রেখে প্রেমিকের হাত ধরে নববধূর লাপাত্তা হবার ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে,পীরপুরকুল্লা গ্রামের নতুন পাড়ার নাজিম উদ্দীন (কালু) ছেলে প্রবাসী আশরাফের কন্যা সপ্তম শ্রেনীর ছাত্রী আরফিনার দুধপাতিলা গ্রামের এক গরু ব্যাবসায়ী ছেলের সাথে ৫ দিন পূর্বে বাল্য বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়। তার পরিবার বড়লোক ছেলে দেখে বিয়ে দিলেও তার মন পড়ে থাকে যশোরের প্রেমিকের প্রতি। ঘরে একদিকে নতুন জামাই আরেক দিকে আরফিনার ছোট মার আত্মীয় পরিচয়ে হাজির যশোরের সে প্রেমিক। দুদিন সে প্রেমিক তার বাড়িতে অবস্থান করে সুযোগ বুঝে গত শুক্রবার আরফিনা ও তার প্রেমিক পাড়ি জমায় যশোরে।
পরবর্তীতে আরফিনার পরিবার আজ শনিবার যশোরে গেছে আরফিনা ও তার প্রেমিকের পরিবারের সাথে বসে সমাধান করতে।আরফিনার দাদী জানান আরফিনার স্বামী তো তাকে আর নেবেনা। এখন সেখানেই দিতে হবে।আরফিনার মা জানান মেয়ে তার কাছে চলে গেছে এখন দেখা যাক কি হয়।স্থানীয় অনেকে নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন আরফিনার মা ও তার ছোট মা যশোরের ছেলের সাথে প্রেমের সব সম্পর্ক জানে। ওর ছোট মা ছেলেকে ডেকে এনে তার হাতে কৌশলে তুলে দিয়ে এখন নাটক করছে।কারন আরফিনার বাবা প্রবাসে থাকে সে জানলে তাদের বকাবকি করবে।
ঘরে নতুন স্বামী রেখে প্রেমিকের হাত ধরে চলে যাওয়ার আরফিনার প্রতি ছি ছি রব উঠেছে এলাকায়।সেই সাথে আরফিনার বাল্য বিবাহ দেবার সাথে জড়িত তার অভিভাবক, ঘটক ও যিনি বিবাহ পড়িয়েছেন তার কঠোর শাস্তির দাবী তুলেছে এলাকাবাসী সহ সচেতন মহল।