দামুড়হুদা উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের বড় রাস্তায় তিনজন ট্রাক ড্রাইভারকে মাথায় দেশীয় অস্ত্র ঠেকিয়ে নগদ ১ লক্ষ ৬৭ হাজার টাকা ছিনতায় করে দূবৃত্তরা। পরে ট্রাক ড্রাইভার দেলোয়ার বাদি হয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দামুড়হুদা মডেল থানার তদন্ত অফিসার মাহবুবুর রহমান অভিযান চালিয়ে কদিপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে মাসুমকে আটক করেন।
গত শুক্রবার রাত ২ টার দিকে এই ছিনতায়ের ঘটনা ঘটে এবং শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে একজনকে আটক করেন।
জানাযায়, গত ৩১ শে মে শুক্রবার রাত ২ টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলার পাঠাচোরা ভেরবনদীর উপর সুইজগেট তৈরির কাজে ব্যবহৃত পাথর আনলোড করে খালি গাড়ি ওজন করার উদ্যেশে লোকনাথপুরের দিকে ফেরার পথে রঘুনাথপুর বড় রাস্তার উপর কলাগাছ ফেলে রাখে দূবৃত্তরা। কলাগাছ দেখে ২টা খালি ট্রাক দাঁড়িয়ে যায়। যাওয়ার কোন রাস্তা না থাকায় হরিনাকুন্ড থানার শেখপাড়া দিন্নি গ্রামের দবির উদ্দীনের ছেলে (ঢাকা মেট্রো ট ১৮-৯০৯৪) নং এর ট্রাক ড্রাইভার বাচ্চু, ঝিনাদাহ জেলার আরোপপুর গ্রামের মৃত আলাউদ্দিনের ছেলে (ঝিনাদাহ ট -১১-১৬২৯)নং ট্রাক ড্রাইভার শফিকুল ইসলাম ও ঝিনাদাহ সদরের মুরাদ মন্ডলের ছেলে ( ঢাকা মেট্রো ত-২২-৩৭২৬) নং ট্রাক ড্রাইভার দেলোয়ার হোসেন গাড়ি থামিয়ে অবস্থান করে। এমন সময় দূর্বৃত্তরা দেশিয় অস্ত্রর ভয় দেখিয়ে ট্রাক ড্রাইভার বাচ্চুর কাছে থাকা নগদ ৫৮ হাজার টাকা, শফিকুল ইসলামের নিকট থাকা ৬৭ হাজার টাকা ও দেলোয়ার নিকট থাকা ৪২ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
পরে ট্রাক ড্রাইভার দেলোয়ার বাদি হয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় মামলা দায়ের করে।
মামলার পরিপ্রেক্ষিতে দামুড়হুদা মডেল থানার তদন্ত ওসি অভিযান চালিয়ে জিগিসা বাদের জন্য কাদিপুর গ্রামের শাহার আলির ছেলে মুছা, আকুবারের ছেলে হাসেম ও শহিদুল ইসলামের ছেলে মাসুমকে থানায় নিয়ে আসে। জিজ্ঞাসা বাদের পর মাসুমকে জড়িত থাকার অপরাধে মাসুমকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেন এবং অপর দুইজন দোষী না থাকায় তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি তদন্ত মাহবুবুর রহমান সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন মাসুম নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। আজ রিমান্ডে নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করা হবে।এ ঘটনায় জড়িতদের আটক করার জন্য অভিযান অব্যহৃত রয়েছে।