দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছি ইউপি ৩ ও ৪ নং ওয়ার্ডের ১০ টাকা কেজি চাউলের ডিলার লাভলুর বিরুদ্ধে এক নারীকে কুপ্রস্তাব ও শ্লীলতাহানী সহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী ওই নারী লম্পট লাভলু ডিলারের বিচার চেয়ে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিলেও কোন সুবিচার পাননি।
শ্লীলতাহানী ওই নারী কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের ধান্যঘরা গ্রামের তিনি সাংবাদিকদের অভিযোগ করে বলেন, আমি ও আমার স্বামী ছেলে নিয়ে পরিবারের আট জন সদস্য নিয়ে খুব কষ্টে জীবন যাপন করে আসছি গ্রামের নেতা তারিক আমার ও আমার স্বামীর নামে দুটি ১০ টাকা কেজির কার্ড করে দেয়।
কিন্তু চাউলের ডিলার লাভলু আমার কাছ থেকে জোর পূর্বক ১ টি কার্ড কেড়ে নেয় ৫ মাস আগে এবং আমাকে কুপ্রস্তাব দেয় আমার সাথে যৌন মিলন করলে এক বস্তা চাউল বেশী দেবে। প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় আমার চাউল বন্ধ করে দেয় এবং আমি সাংবাদিকদের বলি বলে আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেয় লাভলু।
অভিযোগ কারীর স্বামী বলেন, আমি ও আমার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এ দিকে লাভলু ডিলারের বিরুদ্ধে চাউল চুরি করে বিক্রির অভিযোগ রয়েছে। সে সমস্ত কার্ডধারী প্রায় ১০ জন মারা গিয়েছে। সে সমস্ত চাউল গুলো তুলে কৌশলে বিক্রি করে আসছে। তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলার সাহস পায়না। জানিনা কোন ক্ষমতার বলে কার্ড কৌশলে নিয়ে যায়।
ডিলার লাভলুর বাড়ির ভাই-বোন, ছেলে, চাচাতো ভাই-বোন, চাচা-চাচিসহ প্রায় নিজ কবজায় ২৫টি কার্ড দিয়ে চাউল তুলে কৌশলে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। লাভলু একজন ডে লেবার ছিল। সে কখনো আ.লীগের সাথে সম্পর্ক ছিল না। স্থানীয় নেতার আশির্বাদে এলাকার বড় নেতা বনে গিয়েছে। রাতা-রাতি চাউলের ডিলার হয়ে নিজে বড় নেতা বলে দাবী করে।
বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখে ডিলার লাভলুর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবার জন্য দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দৃষ্টি কামনা করেছেন এলাকাবাসী।