দামুড়হুদায় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী’র হয়রতের দেওয়া অসহায় পরিবারের টিন নিয়ে গেলেন আ. লীগ নেতার পুত্রবধু।
জানা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলা সদরের চিৎলা গ্রামের অসহায় দিনমজুর আঃ রব তার দু’চালা টিনের ঘরে কষ্টের সাথে বসবাস করে আসছেন কৃষক দম্পতি। দিনমজুর দম্পতির এমন কষ্টের খবর হয়রত আলী জানতে পেরে তিনি ব্যক্তিগত তহবিল থেকে অসহায় পরিবার ঘর মেরামত করার জন্য আঃ রবের বাড়িতে গিয়ে তার গৃহবধূ নিকট ১ বান টিন তুলেদেন।
গ্রাম বাসীর মাধ্যমে জানা যায়, চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হয়রত আলী যে পরিবারটিকে টিন দিয়ে গেছেন প্রকৃতিপক্ষে পরিবারটি অসহায় দিনমজুর। তবে ফেইসবুক পেইজে দিনমজুর আঃ রবের গৃহবধূ নাম ব্যবহার করে টিন দিয়েছেন বলে যে পোস্টটি করা হয়েছে তা ভুল। কারণ অসহায় দিনমজুর পরিবারের কোন ছেলে সন্তান নেই। তিনার তিনটি কন্যা সন্তান রয়েছেন এবং সকলের বিবাহ হয়ে গেছেন। বিষয়ি নিয়ে গ্রাম মানুষের মাঝে বয়েছ আলোচনা সমালোচনার ঝড়।
সরোজমিনে, গিয়ে ঐ পরিবারের নিকট থেকে জানা যায়, চিৎলার কাশেম ডাক্তারের ছেলে রাজ্জাক আমাকে বলেন তোমার ঘর মেরামতের জন্য টিন দেওয়া হবে। তবে তোমার ছেলের বৌ থাকা লাগবে। যেহেতু আমার কোন ছেলে সন্তান নেই বয়েছেন তিনটি মেয়ে খুবই কষ্ট করে তাদেরকে বিয়ে দিয়ে দিয়েছি।
এরপর ওয়ার্ড আঃ লীগের ছেলে রাজ্জাকের ভাই বৌকে তার ছেলের বৌ বলতে বলেন টিন প্রদানকারী হয়রত আলীর নিকট। গতকাল টিন দিতে এসে টিন দেওয়া সহ আমার বাড়ির ছবি তুলে নিয়ে টিন দিয়ে চলে যান। টিন দেওয়ার কিছু ক্ষণ পরই আমাদের গ্রামের ওয়ার্ড আ. লীগের ছেলে রাজ্জাক এসে জোর পূর্বক আমার দেওয়া টিন নিয়ে চলে যেতে চান। আমি বাঁধা দিলে সে আমাকে মাত্র ১ টিন দিয়ে বাকি টিন নিয়ে চলে যান এবং বলেন এ বিষয়টি কাউকে বললে সামনে সরকারে দেওয়া বাড়ি পাবে না। আমার এ ঘটনাটি সবাই জানেন।
পাশ্ববর্তী বাড়ির মহিলা জানান,একজন ভদ্রলোক আঃ রবের ঘর মেরামতের জন্য একবান টিন দিয়ে যান।তিনি টিন দিয়ে চলে যাওয়ার পর রাজ্জাক টিন গুলো নিয়ে চলে যান। আঃ রব বাঁধা দিলে একটি টিন দেন। পরিবারটি আসলেই খুবই অসহায় তারা পাওয়ার যোগ্য। রাজ্জাক তার আপন ভায়ের বৌকে আঃ রবের পুত্রবধু সাজিয়ে টিন নেন। রবের তিনটি মেয়ে আছেন। খুবই কষ্টে তাদের স্বামী স্ত্রীর সংসার চলেন।
দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হয়রত আলী সাথে কথা বলে জানা গেছে তিনি ব্যক্তিগত তহবিল থেকে একবান টিন অসহায় দিনমজুর আঃ রবের বাড়িতে গিয়ে তার পুত্রবধু সাজেদা খাতুনকে দেওয়া হয়।