দামুড়হুদায় চোরাই গাভী ছাগল সহ ফারুক নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশ। গত শুক্রবার দিনগত রাত ১১টার দিকে উপজেলার নাপিত খালি পশ্চিম পাড়া থেকে চোরাই ছাগল সহ একজনকে গ্রেফতার করা হয়।
এবিষয়ে দুই জনের নামে মামলা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত ধৃত আসামী হলো দামুড়হুদা উপজেলার উত্তর চাঁদপুর গ্রামের মৃত আমির হোসেন এর ছেলে ফারুক হোসেন (৪৫) এবং এজাহারনামীয় ২নং পালাতক আসামি হলো দামুড়হুদা উপজেলা সদরের দশমীপাড়া স্টার ক্লাবের সামনে, আব্দুল গফুর (দলু দফাদার) এর ছেলে আকালে (৪৫)।
পুলিশ সুত্রে জানাগেছে গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার নাপিতখালী পশ্চিমপাড়া গ্রামের ইস্রাফিল মন্ডল, পিং-মৃত খোদা বক্স এর বসত বাড়ীর গোয়াল ঘর থেকে একটি চোরাই গাভী ছাগলসহ ফারুক হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ছাগল চুরি হয়ে যাওয়া ভুক্তভোগী বাদী হয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
বাদী ডালিম হোসেন (৪০), পিং-মোঃ আবুল কাশেম, সাং-দশমী, থানা-দামুড়হুদা, জেলা-চুয়াডাঙ্গা এর বসত বাড়ী থেকে গত ০৭ তারিখ শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টার সময় একটি ধারী গাভী ছাগল যার আনুমানিক মূল্য ১৪ হাজার টাকা চুরি হইয়া যায়। খোজাখুজির একপর্যায়ে বাদী জানতে পারেন যে, দামুড়হুদা উপজেলার নাপিতখালী গ্রামের পশ্চিম পাড়ার ইস্রাফিল মন্ডল, এর বসত বাড়ীর গোয়াল ঘরে একটি চোরাই ছাগল বাধা আছে।
উক্ত ছাগল চোর সন্দেহে একজন ব্যাক্তিকে গ্রামবাসী আটক করিয়া রাখিয়াছে মর্মে বাদীর সংবাদের প্রেক্ষিতে দামুড়হুদা মডেল থানার চৌকস পুলিশ অফিসার এসআই মারজান আল মোনায়েম সংগীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হইয়া উক্ত চোরাই ছাগলটি উদ্ধারসহ আটককৃত আসামীকে হেফাজতে গ্রহন করেন এবং আসামীর নাম ঠিকানা জিজ্ঞাসাবাদে আসামী ফারুক হোসেন (৪৫), পিং মৃত আমির হোসেন, সাং-উত্তর চাঁদপুর, থানা-দামুড়হুদা, জেলা-চুয়াডাঙ্গা বলিয়া জানায়। পরবর্তীতে চোরাই যাওয়া ছাগল উদ্ধারসহ আটককৃত আসামীকে থানায় নিয়ে আসা হয়। তার দেওয়া তথ্য মতে এই মামলায় আরও একজন পলাতক আসামী হলো দামুড়হুদা উপজেলা সদরের দশমীপাড়া স্টার ক্লাবের সামনে, আব্দুল গফুর (দলু দফাদার) এর ছেলে আকালে (৪৫)। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনক ব্যক্তি বলেন, ফারুক তো অত্র অঞ্চলের চিহ্নিত একজন মাদক কারবারি। সে প্রতিনিয়ত ফেনসিডিল বিক্রি করে এলাকার যুব সমাজ নষ্ট করে দিচ্ছে। কেউ তাকে কিছু বললে সে তার সাঙ্গ-পাঙ্গ বাহিনী নিয়ে তাদের দিকে চড়াও হয়, এমনকি মাদক দিয়ে ফাসানোর হুমকি ধামকি দেয়। তিনি আরো বলেন এভাবে দিনের পর দিন সে ফেনসিডিল বিক্রি করে, ছাগল চুরি করে, খারাপ কাজের সাথে যুক্ত থাকে। এখনই এর লাগাম টানা উচিত। সে এবং তার স্ত্রীর নিয়মিত মাদক সেবন করে। সে যে চিহ্নিত মাদক বিক্রেতা তা এলাকাবাসী সবাই জানে।
এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন আইন শৃঙ্খলা সমুন্নত রাখতে দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশ বদ্ধপরিকর। একজন ছাগল চোরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে বিজ্ঞ আদালতের সোপর্দ করা হয়েছে।