দামুড়হুদা উপজেলার জুড়ানপুর-লক্ষিপুর সড়কের মধ্যে রাস্তার মাঝখানে ৩ টি বিদ্যুতের খুঁটি রেখেই সড়ক প্রশস্ত ও পাকা করার কাজ চলছে। রাস্তা প্রশস্ত করার জন্য রাস্তার দুই পাশে গাছপালা কেটে ফেলা ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হয়েছে। তবে রয়ে গেছে রাস্তার মাঝে বিদ্যুতের খুঁটিগুলো।
উপজেলার জুড়ানপুর ক্লাব মোড় পার হয়ে নুর হোসেনের বাড়ির সামনে ১টি, মাঝপাড়ার খলিলুর রহমানের বাড়ির পাশে ১টি ও পশ্চিমপাড়া কবরস্থানের পাশে ১টি বিদ্যুতের খুঁটি রয়েছে। বৈদ্যুতিক খুঁটি অপসারণের জন্য
সড়ক ও জনপথ বিভাগ বিদ্যুৎ বিভাগের অনুকূলে টাকা জমা দেওয়া হয়নি। ফলে বিদ্যুৎ বিভাগ খুঁটিও অপসারণ করেনি।সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার সড়কের মাঝখানে খুঁটি রেখেই পাকা করার কাজ করছে। এতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছে যানবাহনের চালক ও স্থানীয়রা।
সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে জানা গেছে, সড়ক ও জনপদ বিভাগ জুড়ানপুর-লক্ষিপুর সড়কে প্রায় ২ কিলোমিটারের উভয়পাশে রাস্তা প্রশস্তকরণ ও পাকা করার কাজ করছে । প্রশস্ত ও পাকাকরণের জন্য প্রায় দেড় বছর আগে দরপত্রের মাধ্যমে ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়। রাস্তা প্রশস্ত করার ফলে বাজার থেকে পশ্চিমপাড়া পর্যন্ত ১১ হাজার ভোল্টেজ ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎ সংযোগের প্রায় ৩টি বৈদ্যুতিক খুঁটি রাস্তার মধ্যে পড়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রাস্তার মাঝে খুটি রেখে রাস্তা পাকা করার কাজ চলছে। এটা যুক্তিযুক্ত নয়। এতে যে কোন সময়ে খুটির কারণে মারাত্মক দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই অতি দ্রুত এই খুটিগুলো অপসারণ করা দরকার। সকাল থেকেই হাজারো মানুষ, স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করে। এতে সমস্যার সৃষ্টি হওয়ার পূর্বেই সমাধান প্রয়োজন।
একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, মাঝে মাঝে গাড়িতে যাতায়াত করার সময় বিদ্যুতের খুটির কারণে দূর্ঘটনার মুখোমুখি হয়ে পড়ি, দুটি গাড়ি সাইড নিতে পারে না। তাই দুর্ঘটনা এড়াতে বিদ্যুতের এই খুটি সরানো খুবই জরুরি। বিষয়টি নিয়ে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সুদৃষ্টি কামনা করেন শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা প্রকৌশলী আ: রসিদ বলেন, অনেকবার জানিয়েছি বৈদ্যুতিক খুঁটি সরানোর জন্য। ওটা তো বিদ্যুৎ বিভাগের কাজ। আমরা চেষ্টা করেছি, বৈদ্যুতিক খুঁটি সরানোর জন্য তারা অনেক টাকা পয়সা চাই। আমাদেরতো কোন বরাদ্দ নাই। ওইসব স্থানে কাজ করতে আমাদেরও সমস্যা হচ্ছে। আমাদেরও দাবি বৈদ্যুতিক খাম্বা গুলো সরিয়ে নেওয়ার।
এ বিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা বলেন, আমি সরেজমিনে পরিদর্শন করে এলজিইডি এবং পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে এই সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করবো।