দামুড়হুদায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই চলেছে নিউ বোস বিক্সস সহ বিভিন্ন ভাঁটাতে চলছে কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানোর উৎসব। উপজেলা সদরে ফসিল জমি ধ্বংস করে গড়ে তুলেছেন ইটের অবৈধ ভাঁটা। উপজেলাতে প্রায় ভাটাতেই জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে হাজার হাজার মন কাঠ।
ফলে উজার হচ্ছেন মূল্যবান সব গাছ। উপজেলাতে প্রায় দুই মাস আগে পরিবেশ অধিদপ্তর বিভিন্ন ইটের ভাটাতে জরিমানা করার পরও থেমে নেই ভাটা গুলোর অবৈধ ভাবে ইট তৈরি করার কার্যক্রম।
এছাড়াও প্রায় ভাটাতে ইটের মাফ সঠিক না হওয়ার জন্য জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনেও করা হয় জরিমানা। ইটের ভাটাতে জরিমানা আদায় করার পর জরিমানার অর্থ পুষিয়ে নিতে সকল ইটের ভাটাতেই বাড়ানো হয়েছে ইটের দাম।
সরোজমিনে, উপজেলা সদরের নিউ বোস বিক্সসে গিয়ে দেখা যায়, হাজার হাজার মন বিভিন্ন প্রজাতির গাছের কাঠের লাট দিয়ে ইটের পাশ ঘেঁষে লুকিয়ে রাখা রয়েছে। ভাটাতে ডুকছে অবৈধ পাট্টিলার করে গাড়ি গাড়ি মূল্যবান সব কাছের কাঠ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলার প্রায় সকল ইট ভাটা স্থাপনা করা হয়েছে সম্পুর্ন অবৈধভাবে। উপজেলাতে ফসিল জমি কেটে প্রকাশ্য দিবালকে ট্রাক্টর সহ বিভিন্ন যানবাহনে করে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। তাছাড়া ইট ভাটার ধোঁয়ায় চারদিকের পরিবেশে হচ্ছে মারাত্মক ভাবে দূষিত।
কয়লা দিয়ে এসব ইটভাটা গুলোতে ইট পোড়ানোর কথা থাকলেও ভাটা মালিকরা খরচ সাশ্রয়ের জন্য সরকারী নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে নির্ভয়ে প্রকাশ্যেই এসব ইট ভাটায় পোড়ানো হচ্ছে শিশু কাছ।
আর্থিক সংকটের কারণে অনেকটাই অসহায় হয়ে বাগান মালিক সহ বাসা- বাড়িতে লাগানো সখের বিভিন্ন ফলের গাছও কেটে বিক্রয় করছেন অবৈধ ইট ভাটাগুলোতে।ফলে উজার হচ্ছেন ফলজ ও বনজ সম্পদ।
সচেতন মহল বলছেন, ফসিল জমি ঘিরে সরকারি নিয়মনীতি লঙ্ঘন করে ইটের ভাঁটায় ইট তৈরি করা হচ্ছে। অনেকেই নেই কোনো বৈধ লাইসেন্স।
ইট ভাটার কাছাকাছি বাচ্চাদের কয়েকটি স্কুল,শিশু মাদ্রাসা এবং কলেজ রয়েছে। বিশেষ করে শিশু শিক্ষার্থীরা এই ইটের ভাটার ধোঁয়ায় মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ে থাকেন। এসব ইটের ভাটার কারণে পার্শ্ববর্তী অনেক জমিতেই এখন আর ফসল আগের মতো হয়না।
পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক এসব কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতরা বেশিরভাগই প্রভাবশালী হওয়ায় অনেকটা দেখেও না দেখার ভান করছেন কতৃপক্ষ। স্থানীয়রা প্রশাসনকে এ বিষয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমান বলেন, কাঠ দিয়ে ইট না পোড়ানোর জন্য ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসক স্যার সকল ইটভাটা মালিকদের সঙ্গে বসে নিষেধ করেছেন। আমিও গতকাল দামুড়হুদা ইটভাটা মালিকদের সঙ্গে বসে নিষেধ করেছি।
এর পরও যদি কোন ভাটা মালিক নির্দেশনা উপেক্ষা করে অবৈধভাবে ইট পোড়ান সে সকল ভাটা মালিকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভ্রাম্যমাণ অভিযান চলমান থাকবে।