চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় সম্প্রতি বৃদ্ধি পেয়েছে ফসলী ক্ষেত বিনষ্টের ঘটনা, দুবৃর্ত্তরা রাতের আধারে একের পর এক ফলন্ত ক্ষেত নষ্ট করছে, কৃষকেরা ধারদেনার মাধ্যমে ফসল চাষ করার পর ভরা ক্ষেত নষ্ট হওয়ায় তারা একেবারে পথে বসে যাচ্ছেন।
গত ৩০ নভেম্বর রাতে দামুড়হুদা উপজেলার পুরাতন হাউলীর মাঠে, দামুড়হুদার দশমী পাড়ার মৃত আবু রাহেন আলীর ছেলে সরফরাজের, ১ বিঘা ৬ কাঠা জমির পানের বরজ ও ১০ কাঠা মরিচ ক্ষেতে আগাছা নিধন বিষ প্রয়োগ করে, এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় সরফরাজ বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ বিষয়ে বাদী সরফরাজের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দামুড়হুদা থানাধীন ৬২নং হাউলী মৌজার গ্রামের দক্ষিণ পাশের মাঠে ১ বিঘা ৬ কাঠা জমির মালিক ডা: মোশারেফ হোসেন, উক্ত জমি পূর্বে আসামিগণ লীজ নিয়ে চাষাবাদ করতো, পরে আমি উক্ত মালিকের নিকট হতে দেড় বছর পূর্বে লীজ নিয়ে লীজকৃত জমিতে পানের বরজ ও মরিচ আবাদ করি, আমি জমি লীজ নেওয়ার পর হতে আসামীদ্বয় আমাকে চাষাবাদ করতে দেবে না। হুমকি ধামকি দেয়ে এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৫ দিন আগে আমার পান বরজে আগুন ধরিয়ে দেয়, আবার গত ১ ডিসেম্বর বেলা ১২টার দিকে জমিতে গিয়ে দেখি কে বা কারা রাতের অন্ধকারে আমার পান বরজ ও মরিচ ক্ষেতে আগাছা নিধন বিষ প্রয়োগ করে আমার বরজের পান মরিচের গাছ মেরে দিয়েছে।
আমার প্রায় ৫ লক্ষ টাকার পান ও ৬০ হাজার টাকার মরিচের ক্ষতি হয়েছে, তিনি আরো বলেন, আমার ধারণা আসামীদ্বয় আক্রোশ বশত আমার পান বরজ ও মরিচ ক্ষেতে আগাছা নাশক বিষ প্রয়োগ করে ৫ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার ক্ষতি করেছে।
এ বিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান বলেন, প্রতি বছর কৃষির উপর সরকার যে বরাদ্দ দেয় তা থেকে যদি ইউনিয়ন ভিত্তিক ভাবে মাঠে সোলার লাইটিং এর ব্যবস্থা করা হয়, কিছুটা চাষিদের উপকার হবে এবং যদি রাতে গ্রামে পুলিশের টহল বাড়িয়ে দেওয়া হয় তাহলে কিছুটা দুষ্টকৃতদের উপদ্র কমবে, এবং তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আব্দুল খালেক বলেন, পান বরজের মালিক সরফরাজ বাদী হয়ে দুই জনের নামে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।