দামুড়হুদা ডুগডুগী কাটান বিলে মাছ লুটপাটের ঘটনায় হারুন শাকিলদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর কাছে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী ডুগডুগি গ্রামের মিজানুর রহমান। অভিযোগ উঠেছে চলতি মাসের ৬ তারিখে সকাল ১০ টার দিকে বিলে বিষ দিয়ে ৫০ বিঘা জলমহালের প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকার বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৪শ মন মাছ লুটপাট করে হারুন শাকিলরা। এবিষয়ে অভিযোগ পেয়ে সেনা সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, ডুগডুগি কাটান নামক বিল/জলকার বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট হইতে লীজ গ্রহন করে দীর্ঘ ২৪ বছর যাবৎ অর্থাৎ ২০০০ সাল হতে মাছ চাষ করে দেশের আমিষ যোগানে সহযোগিতা করে আসছে। যাহার পরিমান প্রায় ৫০ বিঘার মতো হবে। গত ইং- ০৫/০৮/২০২৪ তারিখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ০৬/০৮/২০২৪ ইং তারিখ রোজ- মঙ্গলবার, সকাল- ১০ টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলার লোকনাথপুর গ্রামের মৃত আবুল হোসেন এর ছেলে মোঃ হারুন এবং একই গ্রামের মৃত মজিবর হোসেন এর ছেলে মোঃ শাকিল হোসেন আমার বিলে বিষ প্রয়োগ করে এবং লোকনাথপুর গ্রামের দরা কসাই এর ছেলে মোঃ নজু সহ অজ্ঞাত ১০-১২জন মিলে ডোরা জাল দিয়া সকাল ১০টা হইতে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত প্রায় ৪০০ মন বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরিয়া লুট করিয়া লইয়া যায়। যাহার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা।
বিলের গার্ড সাধন ও আব্দুস সালাম বাঁধা দিলে ওরা তাদেরকে লাঠি দ্বারা মারধর করিয়া জীবন নাশের ভয়ভীতি প্রদর্শন করিয়া বিল হতে চলে যেতে বাধ্য করে। এঘটনা এলাকার শত-শত মানুষ দেখেছে এবং সাক্ষী আছে। এবিষয়ে চুয়াডাঙ্গা থেকে প্রকাশিত দৈনিক মাথাভাঙ্গা, দৈনিক পশ্চিমাঞ্চল, দৈনিক মেহেরপুর প্রতিদিন, দৈনিক খাস খবর পত্রিকায় অভিযুক্ত দের নাম দিয়ে খবর ছাপা হয় এবং স্থানীয় সামাজিক ও রাজনৈতিক নেত্রীবৃন্দ ঘটনার পরিদর্শন পূর্বক অভিযুক্তদের শাস্তি দাবী করেন। অভিযোগ পেয়ে কর্তব্যরত সেনাবাহিনী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং অভিযুক্তদের বাড়িতে গেলে তাদের খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মিজানুর রহমান বলেন, আমার উপর যদি ওদের কোন রাগ থাকে বা কোন অভিযোগ থাকে তাহলে তারা আমার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারতো। আমাকে জানাতে পারতো, কিন্তু কোন কিছু না বলেই তারা আমার গাং এ বিষ প্রয়োগ করে সব মাছ মেরে দিয়েছে। ছোট ছোট চারা মাছ সব শেষ করে দিয়েছে। বড় মাছগুলো সব বেড় জাল দিয়ে ধরে নিয়ে গেছে। আমি চরম ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি, আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি। আমি এর সুস্থ বিচার চাই।