দামুড়হুদা উপজেলা সদরের নাপিতখালি কাঁঠালতলার মাঠে বেপরোয়া ভাবে মাটি কেটে কৃষি জমি বিলুপ্ত করছেন কয়েকজন ব্যক্তি। এসকল মাটিখেকোদের হাত থেকে কৃষক সমাজকে বাঁচাতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন মহলসহ কৃষক সমাজ।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় নাপিতখালি গ্রামের ভূমিদস্যু সানোয়ার, জাইদুল, জহির যে জমি কেটে ভাটায় মাটি দিচ্ছেন সে জমিটির চারপাশে ভুট্টা, সরিষাসহ রয়েছে খেজুর গাছের সমাহার। জমি থেকে ৩ টি মাটি বোঝায় ট্রাক নিয়ে ভাটার দিকে যাচ্ছেন। মাঠে আরও ১ টি ট্রাকে মাটি ভর্তি করার কাজ চলছে।
ভূমিদস্যুরা প্রভাবশালী হওয়ার অর্থের লোভে অসহায় নিরীহ কৃষকদের জমিতে লাগানো ফসলের ক্ষেত মাটি কেটে নষ্ট করছে। যে জমি কেটে মাটি নিচ্ছেন সে জমির খেজুর গাছ থেকে টপটপ করে রস পড়ছে আর তখনই গাছের গোড়া কাঁটার ব্যস্ত সময় পার করছেন শ্রমিকরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশ ক’জন কৃষক আমাদের এ প্রতিনিধিকে জানান- দামড়হুদা উপজেলা সদরের নাপিতখালি গ্রামের কাঁঠালতলা খাল নামক মাঠে নাপিতখালি গ্রামের সানু, জাইদুল ও জহির অনুমোদন বিহীন সরকারের আইন অমান্য করে মাটি কাটছে। মাটি কাটার এ উৎসবে প্রায় ৫/১০ টি গাড়ি ১২/১৩ টাকা দরে উপজেলা সদরের নাপিতখালি মোড়ের ফজলু মিয়া’র রেড ব্রিকস, বরুন বোসের নিউ বোস ব্রিকস, কোমরপুরের শামসুল মিয়া’র রেড ব্রিকসসহ বিভিন্ন ভাটায় বিক্রয় করছেন ভূমিদস্যুরা।
এতে ভূমিদস্যুদের শিকার হচ্ছেন সাধারণ নিম্নবৃত্ত কৃষকেরা। কৃষকরা বলেন আমরা অসহায়, খনন করে মাটি কাটার ফলে আশপাশে আমাদের জমির মাটির উর্বরতা শক্তি হারিয়ে ফেলবে, আমারা সাধারণ কৃষক আমাদের কিছুই করার নেই। ভমিদস্যুদের মাটি কাটা বন্ধ করতে পারেন এমন কেউ কি নেই, যিনি আমাদের পাশে থেকে সহযোগিতা করতে পারেন।
স্থানীয় সচেতন মহল বলছেন- নাপিতখালি কাঁঠাল তলা খালের মাঠে বেশ কিছু দিন ধরে গ্রামের সানু, জাহিদুল, জহির মাটি কেটে বিভিন্ন ইটের ভাঁটায় ব্রিক্রয় করছেন বেশ চড়া দামে।
উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মাটি কাটা বন্ধ থাকার সুযোগে ভাটা মালিকরা অনেকটাই বাধ্য হয়েই চড়া দামে মাটি কিনছেন। খালের পাশে যে ভাবে মাটি কাটছে এতে করে বর্ষা মৌসুমে ফসিল জমির চরম ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রকৃতি কৃষকরা অসহায় অনুভব করায় নিজেদের ক্ষতি হলেও কোন ঝামেলায় জড়াতে চান না। এছাড়াও মাটি বহনকারী অবৈধ ট্রাক গ্রামের রাস্তায় দ্রুত গতিতে বেপরোয়া ভাবে চলাচলের জন্য চিন্তিত রয়েছেন সুশীল সমাজ।
এ বিষয়ে অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমানের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন এ ধরনের বিষয় কোন প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না। যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।