দামুড়হুদা উপজেলার সদর ইউনিয়নের হাতিভাঙ্গা গ্রামের কৃষক মজিবার রহমানের মামলাকৃত জমির বসত বাড়ির জায়গা জোর পূর্বক দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে ।
অভিযোগ সূত্রে সরোজমিনে গিয়ে জানা যায়,দামুড়হুদার সরদের হাতিভাঙ্গা গ্রামের মৃত. রমজান আলীর ছেলে কৃষক মজিবার রহমান র্দীঘ প্রায় ১৬ বছর ধরে ক্রয়কৃত সম্পত্তি ৪ কাঠা জমি বসত বাড়ি তৈরি করে ভোগ দখল করে আসছেন।হঠাৎ বসত বাড়ির জমিতে মোক্তারপুর গ্রামের মৃত. আব্দুলের ছেলে আজিম ও সাইফুল, আবু শামার ছেলে শিলন,মৃত. রবজেলের ছেলে আঃ গফুর, মৃত. মোফাজ্জল গদা,আঃ গফুরের ছেলে জাহাঙ্গীর, মৃত. তাহাজ্জেলের ছেলে বক্কা জোর পূর্বক দখল করতে পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছেন। আমরা সে সময় বাধা দিলে আমাদের কে বিভিন্ন হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে।
এ বিষয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলা করেছেন কৃষক মজিবর রহমান যা চলমান। চলমান মামলা উপেক্ষা করে ঐ বসতবাড়ি থেকে কৃষক দম্পতির পরিবার কে জোর পূর্বক উচ্ছেদ করে দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।এ লক্ষ্যে প্রায়ই আজিম গং ঐ বসত বাড়িতে গিয়ে বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার হুমকি দিয়ে আসছে।
গত প্রায় ৪দিন আগে দখল ও উচ্ছেদর জন্য জোর পূর্বক কৃষক মজিবর রহমানের বাড়িতে প্রবেশ করে টইলেট ও টিউবওয়েল যাওয়ার প্রবেশ পথ বাঁশের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে রেখেছেন।যাতে পরিবরটি পড়েছে সীমাহীন দুর্ভোগে।
ভুক্তভোগী কৃষক মজিবার রহমান জানান, আজিম উদ্দিন গং অন্যায় ভাবে আমার প্রায় ১৬ বছর পূর্বে তৈরি করা ঘর বাড়ি থেকে গায়ের জোরে উচ্ছেদ করার হুমকি দিয়ে আসছিলো।এরই এক পর্যায়ে আমি বাদী হয়ে বিঙ্গ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চুয়াডাঙ্গা বরাবর মামলা দায়ের করি।
পরবর্তীতে বিজ্ঞ আদালত দামুড়হুদা থানার অফিসার ইনচার্জকে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা এবং দখল সংক্রান্ত বিষয়ে ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তাকে আদেশ দেন। আদেশ মোতাবেক কাজ করার নির্দেশ পালনের জন্য প্রেরিত পুলিশ সদস্য ( তার বক্তব্য মতে) নাম এ এস আই মোসলেম। তিনি আজিম গংদের উস্কানির সূত্রে তাৎক্ষণিক ঘরবাড়ি ভাঙ্গিয়া চলে না গেলে আমাকে গ্রেফতার করার হুমকি দিতে থাকেন।আমার কাগজ পত্র সঠিক নয় মর্মে ধমকাই।
আদালতের নির্দেশ পালনের পরিবর্তে আমাকে জমি হইতে উচ্ছেদের পাইতারা করেন।এরই মধ্যে গত ৩০ শে জুনে আদালতের নির্দেশ পালনের পরিবর্তে পুলিশ প্রশাসন জমির দখল উচ্ছেদের কাজ করার পদক্ষেপ নেওয়ায় তা বন্ধের প্রার্থনার জন্য ডাক বিভাগের মাধ্যমে আবেদন প্রেরণ করি চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক, জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যালায়।
দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন ইউপি সদস্য ইব্রাহীম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন প্রায় ২৬ বছর ধরে হাতিভাঙ্গা গ্রামের মৃত. রমজান আলীর ছেলে মজিবার বসত বাড়ি তৈরি করে বসবাস করে আসছেন।যে জমিতে বসবাস করে আসছিলো তা তাদের আত্মীয়দের নিকট থেকে কিনেছিলো।এ বিষয়ে থানাতে বসাবসি হয়েছিল বলে জেনেছিলাম।
থানা উভয় পক্ষের ৩ মাস সময় দিয়েছিলেন মিমাংসা করার জন। পরবর্তীতে কি হয়েছে জানিনা। দামুড়হুদা মডেল থানায় এ এস আই মোসলেম উদ্দিনের নিকট হুমকি, ভয় ভীতি ঘর বাড়ি ভেঙে দেখিয়েএ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমি কাউকে কোন হুমকি দিই নাই। আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে ওসি স্যারের পক্ষ থেকে নোটিশ করেছি। আর সে মতে ডেকে নিয়েছি। জমি জাইগার বিষয়ের মামলা নিয়ে প্যারা হবে সেজন্য উভয় পক্ষকে নিয়ে ওসি স্যার নিজেই করেছে।
দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আব্দুল খালেক বলেন, মজিবার খুবই দুষ্ট প্রকৃতির লোক। সে একজনের কাছে জমি কিনে আর একজনের জমি দখল করে আছে। এবিষয়ে আমি তাদের দু পক্ষ কে থানায় ডেকে একটি আপোষ মিমাংসা করি। মজিবার তা না মেনে পুলিশের নামে মিথ্যা অভিযোগ করে বেড়াচ্ছে। তাকে কোনো ভয় ভিতি দেখানো হয়নি।