দামুড়হুদায় সড়ক দুর্ঘটনায় মুন্নার মৃত্যুতে বিভিন্ন মহলের শোক প্রকাশ করেছে। আজ সোমবার বেলা ৩ টার দিকে দামুড়হুদা গার্লস স্কুলের সামনে মটর সাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাখি ভ্যনের এক্সেলে মুখ ও মাথায় আঘাত প্রাপ্ত হয়ে অকালে প্রান হারায়। নাঈম রহমান মুন্না(২৫)।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে আজ সোমবার বেলা ৩ টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলার সদরের দশমী পাড়ার মোমিনের ছেলে নাঈম রহমান মুন্না দামুড়হুদা বাজার থেকে নিজের ব্যবহ্ত পালসার-১৫০ সিসি লাল-কালো রংয়ের মোটরসাইকেলের পিছনে চাউলের বস্তা নিয়ে বাসস্ট্যান্ডের দিকে বাড়ি আসছিলো। দামুড়হুদা গার্লস স্কুলের সামনে এসে পৌঁছালে হঠাৎ মোটরসাইকেলের পিছনে থাকা চাউলের বস্তার মুখ খুলে পড়ে যাচ্ছিল, তখন বস্তা ধরতে গিয়ে সে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাকা রাস্তার উপর বিপরীত দিক থেকে আসা পাখি ভ্যানের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেল চালক মুন্না মাথায় ও মুখে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজন আহত মুন্নাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেলে রেফার করেন। রাজশাহী মেডিকেলে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে আহত মুন্না মৃত্যবরন করেন।
মুন্নার মৃত্যুর খবর দামুড়হুদায় ছড়িয়ে পড়লে পুরো উপজেলা জুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে। মুন্না ছেলে হিসেবে ছিল খুবই ভালো, সব সময় ছিল নম্র ব্যবহার। উপজেলা জুড়ে ইয়াং জেনারেশনের মধ্যে তার ছিল সুখ্যাতি। দামুড়হুদা মালিক সুপার মার্কেটে স্মার্ট কালেকশনের স্বত্বাধিকারী ছিলো মুন্না। খেলাধুলা করতে সে খুব পছন্দ করতো, সে একজন চুয়াডাঙ্গার ক্রীড়াঙ্গনের উদীয়মান তারকা ( হ্যান্ডবল+ ভলিবল) ভালো খেলোয়াড় ছিল। তার মৃত্যুতে দামুড়হুদার বিভিন্ন মহল শোক প্রকাশ করেছে।
দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউল কবির ইউসুফ বলেন, মুন্না খুব ভালো ছেলে ছিল, সবার সাথে ওর খুব ভালো সম্পর্ক ছিল। মুন্নার অকাল মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। আমরা ওর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই এবং মুন্না’র রুহের মাগফেরাত কামনা করি।
চুয়াডাঙ্গা জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এখলাছ উদ্দিন সুজন বলেন, গতমাসে ডিসেম্বর ১৮ তারিখে, আমার ক্যামেরায় মুন্নার একটি শেষ তোলা ছবি আছে, শেষ দেখাও ওটাই ছিলো। বলেছিলো কাকা এবারও দেখা হবে ঢাকা হ্যান্ডবল মাঠে। কমপ্লিট এথলেট ভদ্র স্পোর্টি তরুণের জীবন প্রদীপ নিভে গেল। মুন্নার রুহের মাগফেরাত কামনা করি। মহান রাব্বুল আলামিন তাকে জান্নাত নসিব করুন।
দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আলমগীর কবীর বলেন, এখনো কারো কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।