দামুড়হুদা উপজেলার জুড়ানপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা ও ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে নতুন শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় অত্র বিদ্যালয়ের মাঠ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের প্রথম অধিবেশনের শুরুতে অতিথিদের ফুলের শুভেচ্ছা দিয়ে বরণ করা হয়। এরপর পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত ও আমন্ত্রণ পত্র পাঠ করেন অত্র বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্র আবু নাঈম ও ৯ম শ্রেণির ছাত্রী মরিয়ম খাতুন। এরপর শিক্ষকদের মধ্যে থেকে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন সহকারী প্রধান শিক্ষক রায়হান উদ্দিন, সহকারী শিক্ষক শামীম রেজা, জাহাঙ্গীর কবির, আব্দুল মজিদ।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একরামুল হক এর সভাপতিত্ব প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জুড়ানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি প্রফেসর আহসান আলী, দামুড়হুদা উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম,ইউনিয়ন কৃষকলীগ ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি শরিফ উদ্দীন,১নং ইউপি সদস্য ও বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি মোখলেছুর রহমান।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, সহকারী শিক্ষক মনিরুল ইসলাম,শামীম,আহমেদ সাদিদ রেজা, আলমগীর হোসেন,সহকারী শিক্ষিকা ফাহিমা খাতুন ও শিরীনা পারভীন,বিদ্যালয় দামুড়হুদা উপজেলা প্রেসক্লাবে সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবীব, মশিউর রহমান পরিচালনা কমিটির সদস্য লিটন মল্লিক, আমীন হোসেন,মনিরুল ইসলাম,মিনারুল ইসলাম,আলফাজ মল্লিক,ময়না খাতুন।
এসময় ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে প্রধান অতিথি ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন বলেন, শুধু ভালো শিক্ষার্থী হলেই চলবে না, সকলকে দেশপ্রেমিক হতে হবে। সন্ত্রাসের মাধ্যমে আজকে আমাদের মেধাবী সন্তানদের নষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে। কোনো রকম নেশার সঙ্গে নিজেকে না জড়ানোর আহ্বান জানান। সকলকে দুর্নীতিমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সোনার বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, জাতিকে দুর্নীতিমুক্ত করতে হলে নতুন প্রজন্মকে কাজে লাগাতে হবে।
সমাপনী বক্তব্যে প্রধান শিক্ষক একরামুল হক বলেন, তোমরা সকলে নিজেদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে,একজন শিক্ষিত সৎ মানুষ হতে হবে।তোমাদের যাত্রা সফল হোক, সুন্দর হোক আগামীতে তোমরা সামনে এগিয়ে যাও। কিন্তু শুধু পড়াশোনা করলেই হবে না,পড়াশোনার পাশাপাশি সাংস্কৃতির সাথে যুক্ত থাকতে হবে। কারণ বিপথ থেকে সাংস্কৃতিই টেনে আনতে পারে।
এছাড়াও অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় অধিবেশনে মনমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও কৃতি ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। বিদায় সংবর্ধনা ও নবীন বরণ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সহকারী শিক্ষক সিদ্দিকুর রহমান।