কুষ্টিয়া করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবে দায়িত্ব বেড়েছে গ্রাম পুলিশদের। শুধু সময়ের পরিবর্তনেই দায়িত্ব বাড়লেও সুযোগ সুবিধা আগের মতোই। তবুও তারা অবিরাম কাজ করে চলেছেন।
গ্রাম পুলিশদের, হাট-বাজারে নজরদারির পাশাপাশি সামাজিক নিরাপত্তায় লোকদের সচেতন করতে ব্যস্ত তারা। থানা পুলিশের সাথে অপরাধী শনাক্তের কাজ, বাড়ি বাড়ি তথ্য সংগ্রহসহ ইউনিয়ন পরিষদের সামাজিক সব কার্যক্রম বাস্তবায়নে প্রাথমিক ভূমিকা তাদেরই।
বর্তমানে করোনায় ভাইরাসে যখন সবকিছু বন্ধ ঘোষনা করেছে সেসময়ই সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখাসহ আইনশঙ্খলা রক্ষায় নানান কাজে সম্পৃক্ত হতে হচ্ছে তাদের।
প্রতিদিন সময়-অসময়ের হাজারো হুকুম মানতে, পায়ে হেঁটে কাজ করছেন মহল্লা থেকে মহল্লায়। তবু হত-দরিদ্র শ্রেণির এই গ্রাম পুলিশদের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজে আসছে না ইউনিয়ন পরিষদ।
কথা হয় বারুইপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের গ্রামপুলিশ ইউসুফ আলীর সাথে।
তিনি বলেন, চেয়ারম্যানের নির্দেশে বাড়ী বাড়ী গিয়ে বিধবা, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী ভাতাভোগী গ্রহীতাদের কার্ড সংগ্রহ করছি। তাদের ভাতার টাকা দেবে বলে এসব বই সংগ্রহ করতে হচ্ছে। তাছাড়া এখন করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে এলাকার মানুষকে সচেতন, ঘরে থাকার জন্যও পরামর্শ দেওয়াসহ অনেক কাজ করতে হয়।
বারুইপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আরজিনা খাতুন জানান, একজন গ্রাম পুলিশের দায়িত্ব অনেক। এরমধ্যে জন্ম মৃত্যু রেজিষ্টার সংরক্ষন এবং এলাকার সব জন্ম ও মৃত্যূ সর্ম্পকে পরিষদকে অবহিত করা, খাজনা অথবা ভূমি উন্নয়ন কর ,স্থানীয় কর ফি বা অন্য কোন পাওনা সংগ্রহ, চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন পরিষদকে সহায়তা করা,
চেয়ারম্যান ও সদস্যদের আদেশ অনুসারে কাজ করাসহ গ্রাম পুলিশ গন বর্তমানে থানা পুলিশও ইউনিয়ন পরিষদের যৌথ নিয়ন্ত্রনে কাজ করে থাকে। তাছাড়া করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে মহল্লার মানুষদের সচেতনতা করতে, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিতে, হোমকোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যাক্তিদের বাড়ীতে লাল নিশানা টানানোসহ পাহারাও দেওয়া লাগে এসব গ্রাম পুলিশদের।
মনিরুল ইসলাম নামের এক গ্রাম পুলিশ নলেন, প্রতি সপ্তাহে আমাদেরকে থানায় এবং সবসময় ইউনিয়ন পরিষদ অফিসে হাজিরা দিতে হয়। গ্রাম আদালতের বিচারে আমাদের উপস্থিত থাকতে হয়। এছাড়াও বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করতে হয় আমাদের।
ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহেল মারুফ জানান,
সময়ের পরিবর্তনে দায়িত্ব বেড়েছে গ্রাম পুলিশদের, হাট-বাজারে নজরদারির পাশাপাশি সামাজিক নিরাপত্তায় লোকদের সচেতন করতে ব্যস্ত তারা। থানা পুলিশের সাথে অপরাধী শনাক্তের কাজ, বাড়ি বাড়ি তথ্য সংগ্রহসহ ইউনিয়ন পরিষদের সামাজিক সব কার্যক্রম বাস্তবায়নে প্রাথমিক ভূমিকা তাদেরই। তাছাড়া এখানে করো না প্রাদুর্ভাবে তারা তাদের দায়িত্ব অনেকাংশেই বেড়ে গেছে।
তাদের এখন সাড়ে ৬ হাজার টাকা বেতন প্রদান করা হয়ে থাকে। যার অর্ধেকটা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে দেওয়া হয়।