স্কুল-কলেজ এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলতে না পারায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মহান স্বাধীনতা দিবস ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে রোববার দুপুরে বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ দুঃখ প্রকাশ করেন।
গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে সভাপতির বক্তব্য দেন শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি বলেন, আমরা স্কুল কলেজগুলো খুলে দিতে চেয়েছিলাম কিন্তু এখন হঠাৎ করে করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়াতে আমরা এখন নয়, রোজার ঈদের পরে স্কুল-কলেজ-শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেব। আর এই ফাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেসবের মেরামত লাগবে সেসব কাজ সরকার করে দেবে। পাশাপাশি দেশের উন্নয়নের কাজগুলো চলতে থাকবে, বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা যাতে অব্যাহত থাকে সে প্রচেষ্টা আমরা অব্যাহত রাখব।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে আদর্শ নিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে, সেই আদর্শের ভিত্তিতেই আজকে উন্নয়নের মহাসড়কে চলমান রয়েছে। বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। কিন্তু আমাদের এখানে থেমে থাকলে চলবে না, আমাদের এই যাত্রা আরও অনেক দূর এগিয়ে যেতে হবে। উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ তথা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে হবে।
এ সময় বিশ্বের সব অঞ্চল থেকেই রাষ্ট্রনেতারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে শুভেচ্ছা পাঠিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, লাখো শহিদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার সুফল মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেব এবং সেটা দেওয়ার মতো দক্ষতা বাংলাদেশ অর্জন করেছে। আর সেই অর্জন করেছে বলেই আজকে সারাবিশ্ব, বাংলাদেশের জনগণকে সম্মানিত করেছে শুভেচ্ছা বার্তা দিয়ে। এটা আমাদের সম্মানের, এটাই আমাদের স্বার্থকতা। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করেই দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং মুজিববর্ষে এটিই আমাদের প্রতিজ্ঞা।