দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের সব ধরনের হটলাইন বন্ধ করায় উত্তর কোরিয়ার কড়া সমালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর কড়া জবাব দিয়েছে উত্তর কোরিয়া।ওয়াশিংটনকে সতর্ক করে দিয়ে উত্তর কোরিয়া বলেছে,যুক্তরাষ্ট্রের উচিত মুখ সামলে কথা বলা। আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে নিরাপদ করতে চাইলে ওয়াশিংটনের উচিত আন্তকোরীয় ব্যাপারে নাক না গলিয়ে নিজেদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে নজর দেয়া।
এ ব্যাপারে উত্তর কোরিয়ার সরকার নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম কেসিএনএতে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে দেশটির পররাষ্ট্র দফতরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কিয়ন জং গুন বলেন,যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিমুখী আচরণের মনোভাব জঘন্য।
পররাষ্ট্র দফতরের যুক্তরাষ্ট্র বিষয়ক বিভাগের প্রধান জানান, ওয়াশিংটনের উচিত তাদের মুখ সামলে কথা বলা এবং নিজেদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে মনোযোগ দেয়া।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সিঙ্গাপুরের বৈঠকের দুবছর পূর্তি হতে যখন মাত্র একদিন বাকি তখন ওয়াশিংটনকে এমন হুমকি দিল পিয়ংইয়ং।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার বৈরী সম্পর্ক বহুদিনের।এর আগে উত্তর কোরিয়াকে পারমাণবিক অস্ত্র কার্যক্রম থেকে সরিয়ে আনতে গত বছর হ্যানয়ে দ্বিতীয়বারের মতো উনের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন ট্রাম্প। কিন্তু এসব বৈঠকের কোনো ফল হয়নি। বরং গত কয়েক মাসে বেশ কয়েকবার ভারী অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে পিয়ংইয়ং।
চলতি সপ্তাহে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের সব অফিশিয়াল হটলাইন ছিন্ন করার ঘোষণা দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। প্রতিবেশী দেশটি থেকে নিজেদের অভ্যন্তরে পিয়ংইয়ং বিরোধী লিফলেট বিতরণের জের ধরে এ সিদ্ধান্ত নেয় উন প্রশাসন।
এই সিদ্ধান্তকে চরম হতাশাজনক উল্লেখ করে উত্তর কোরিয়ার সমালোচনা করে যুক্তরাষ্ট্র। সূত্র-যুগান্তর