আজ রাতে কাতার বিশ্বকাপের প্রথম সেমি-ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে আর্জেন্টিনা ও ক্রোয়েশিয়া। দোহারে লুসাইল স্টেডিয়ামের এই মহারণে দলীয় লড়াইয়ের মধ্যে কিছু ব্যক্তিগত লড়াইও থাকবে। সেই খণ্ডযুদ্ধগুলোর মধ্যে লিওনেল মেসি ও লুকা মডরিচের দ্বৈরথটাই হবে সবচেয়ে আকর্ষণীয়।
মেসি-মডরিচ। দুজনেই নিজ নিজ দলের সবচেয়ে বড় তারকা। দুজনেই অধিনায়ক। ফুটবল মাঠে দুই মহারথীর ব্যক্তিগত দ্বৈরথটা জমজমাট। দুজনে কত বার যে মাঠে একে অন্যের মুখোমুখি হয়েছেন! লুকা মডরিচ ২০১২ সালে যোগ দেন রিয়াল মাদ্রিদে। সেই থেকে ২০২১ সালে মেসি বার্সেলোনা ছেড়ে পিএসজিতে যোগ দেওয়ার আগ পর্যন্ত টানা ৯ বছর অসংখ্য ‘এল ক্লাসিকো’তে মুখোমুখি হয়েছেন দুজন।
মেসির বার্সেলোনা ও মডরিচের রিয়াল মাদ্রিদের সেই মর্যাদার এল ক্লাসিকোতে কখনো মেসিদের জয় হয়েছে, কখনো মডরিচরা হেসেছেন জয়ের হাসি। এমনকি মেসি বার্সেলোনা ছেড়ে পিএসজিতে আসার পরও দুজনে মুখোমুখি হয়েছেন। গত মার্চেই যেমন উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলো রাউন্ডে মুখোমুখি হয়েছিল মেসির পিএসজি ও মডরিচের রিয়াল। তাতে প্রথম লেগে জিতেছিলেন মেসিরা। করিম বেনজেমা জাদুতে দ্বিতীয় লেগে জয় পান মডরিচরা। ২০২২ সালের ৯ মার্চের সেই ম্যাচই হয়ে আছে দুজনের সর্বশেষ সাক্ষাৎ।
ক্লাবের পাশাপাশি জাতীয় দলের জার্সি গায়েও দুজনে এ পর্যন্ত তিন বার মুখোমুখি হয়েছেন। তাতে মডরিচের ক্রোয়েশিয়া জিতেছে দুই বার, মেসিরা জয়ের হাসি হেসেছেন এক বার। জাতীয় দলের জার্সিতে আজকের চতুর্থ সাক্ষাতে কে জিতবেন? যিনিই জিতুন, তার আগে দুজনের মাঠের লড়াইয়ে আগুন ঝরবে। বিশ্বকাপে ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারের ভূমিকায় খেলা লুকা মডরিচের কাঁধেই আজ থাকবে মেসিকে রুখে দেওয়ার দায়িত্ব।
মানেটা সোজা, মেসির পা থেকে বল কেড়ে নেওয়ার কাজটা করবেন মডরিচ। ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপে এই কাজে অবিশ্বাস্য সফল হয়েছিলেন মডরিচ। মাঠে মেসিকে ‘অকার্যকর’ রেখে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন ক্রোয়েশিয়ার ৩-০ গোলের জয়ে। মডরিচ আজও যে সেরকম কিচুই করতে চাইবেন তা নিশ্চিতই। আর মেসি? তার স্মৃতি থেকে রাশিয়া আসরের সেই হার মুছে যাওয়ার কথা নয়। যদি আগে ভুলে গিয়ে থাকেনও, কাতার বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল ঠিকই সেই ক্ষতের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে। মেসি তাই যে করেই হোক, আজ সেই হারের প্রতিশোধ নিতে চাইবেন। কাতারে যেরুপ অগ্নিশর্মা হয়ে খেলছেন মেসি, নিজের সেই রূপটা ধরে রাখতে পারলে আজ শেষ হাসিটাও হয়তো হাসতে পারবেন তিনিই।