একসময় ভিডিও অথা অডিও যে কোনো সিনেমা বা গানের অ্যালবাম বাজারে আসত সিডি আকারে। ২০০০ সালেও বৈশ্বিকভাবে সিডির চাহিদা ছিল আকাশচুম্বী; দুই দশক বাজারে স্থবিরতার পর ২০২১ সালে এসে আবারও বিক্রি বেড়েছে সেই সিডির। গান শোনার সবচেয়ে ভালো মাধ্যমগুলোর একটি হিসাবে বিবেচনা করা হয় সিডিকে। তবে গেল কয়েক বছরে সিডি প্লেয়ারের সংখ্যা কমেছে শ্রোতাদের হাতে। রেকর্ডিং ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন অফ আমেরিকা (আরআইএএ) বাজারে প্রথমবারের মতো সিডির বিক্রি বাড়ার খবর জানিয়েছে। সংগঠনটির তথ্য বলছে, ২০২০ সালের দেশটিতে তিন কোটি ১৬ লাখ সিডি বিক্রি হয়েছিল, আয় হয়েছিল ৪৮ কোটি ৩২ লাখ ডলার। কিন্তু ২০২১ সালে সিডি বিক্রি হয়েছে চার কোটি ৬৬ লাখ, আয় হয়েছে ৫৮ কোটি ৪২ লাখ ডলার। এ বছরের শুরুতে বাজার বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান ‘এমআরসি ডেটা’র দেওয়া তথ্যের সঙ্গে ‘আরআইএএ’-এর তথ্যের সামঞ্জস্য রয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
২০০০ সালের তুলনায় অনেক কমে গিয়েছে সিডির বিক্রি। ওই সময়ে কেবল যুক্তরাষ্ট্রেই সরবরাহ করা হতো ১০০ কোটির বেশি সিডি। সিডির এই পুনরুত্থানকে ইতিবাচকই বলছে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা। অনেকের কাছে এখনো ‘ডিজিটাল মিউজিক’-এর তুলনায় ‘ভিনাইল’-এর আওয়াজ ধরা পড়ে তার স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য নিয়ে। সিডিতে যে ‘ডিজিটাল মিউজিক’ থাকে তা অ্যাপল বা অ্যামাজন-এর মতো স্ট্রিমিং সেবার সঙ্গে তুলনামূলক মান বিচারে অভিন্ন বলছে এ খাত সংশ্লিষ্টরা।