ইট পাথর আর প্লাষ্টিক নির্ভর যুগের সাথে তাল মেলাতে না পেরে অনেক কিছুর বিলুপ্তি ঘটলেও অনেকেই সখ করে ধরে রাখার চেষ্টা করছেন আদি কিছু দৃষ্টি নন্দন নমুনা। তারই সুত্রধরে কলা পাতায় তৈরী করেছেন বসতবাড়ী ও চায়ের দোকান।
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ধানখোলা উত্তরপাড়া গ্রামের চা দোকানদার তুহিন মিয়া। দীর্ঘদিন থেকে চায়ের ব্যাবসা করেন। এলাকায় এক সময় কলা পাতা আর তাল পাতার ঘর দেখে মুগ্ধ হতেন। মানুষের পছন্দের ভিন্নতা থাকলেও কলা পাতার ঘরে থাকতে পছন্দ করেন চা দোকানি তুহিন মিয়া। তালপাতা আর কলা পাতার ঘরে তাকে মুগ্ধ করতো। কালের পরিবর্তনে তাল গাছ প্রায় বিলুপ্তির পথে। তাই তিনি কলা পাতার ঘর বেঁধেছেন। ঘরের চারিদিক ঘিরে দিয়েছেন কলা পাতায়। উপরে ছাঁউনি দিয়েছেন পাট কাঠি ও পলেথিন কাগজ। ঘরের ভিতরে কলা পাতার বেড়া দিয়েই করা হয়েছে নানা ধরনের কারুকাজ।
এলাকাবাসীরা জানায়, দরিদ্রতার কারনে মানুষ এক সময় দামি ছাউনি না দিতে পেরে বসবাসের জন্য কলা পাতার বেড়া দিয়ে ঘর নির্মান করতেন। মানুষ সে দারিদ্রতা থেকে বেরিয়ে এসে যুগের সাথে তাল মেলাতে ইট পাথর টালিসহ ঢেউটিন দিয়ে ঘর নির্মাণ করছেন অনেকেই। আধুনিক ও প্রতিযোগীতার এই যুগেও অর্ধযুগ থেকে কলা পাতার ঘর তৈরী করে ব্যবসাসহ বসবাস করছেন তুহিন মিয়া।
অন্যান্য দোকানের চেয়ে তুহিন মিয়ার কলাপতার ঘরে অনেক মানুষ ভীড় জমায়। তুহিন মিয়া জানায় আমাদের বাবা দাদারা কলা পাতাসহ বিভিন্ন পাতা দিয়ে ঘর নির্মাণ করতেন। আমি বাবা দাদাদের সেই পুরানো স্মৃতি বা ঐতিহ্য ধরে রাখতেই নির্মাণ করেছি কলা পাতার ঘর। এটা আমার অন্যরকম অনুভুতি।