বাংলাদেশের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ও মার্সেল কোম্পানীর ব্র্যান্ড অ্যাম্বেসেডর আমিন খান বলেছেন, ব্যবসায়ীরা অনেক সময় নন ব্রান্ডের নকল পণ্য বিদেশী পণ্য বলে বিক্রি করে থাকেন ক্রেতাদের কাছে।আমাদের দেশের সহজ সরল মানুষ নন ব্র্যান্ডের নকল পণ্যকে বিদেশী পণ্য ভেবে কিনে প্রতারিত হচ্ছেন।শুধু তারা প্রতারিতই হচ্ছেন না। এই দেশের টাকাগুলোও বিদেশে চলে যাচ্ছে।দেশের টাকা দেশে থাকছেনা। আমাদের দেশেও এখন অনেক উন্নত মানের পণ্য তৈরী হচ্ছে। যা বিশ্বের ৪৬ টি দেশে রপ্তানী করা হচ্ছে। দেশী পণ্য বেশী বেশী করে ব্যবহার করতে হবে। তাহলে দেশের টাকা দেশেই থাকবে। দেশের অর্থনীতি আরও বেশী সমৃদ্ধশালী হবে, দেশ আরও এগিয়ে যাবে। আমরা দেশীয় তৈরী পণ্য বেশী বেশী কিনলে সেই লাভের টাকায় দেশে তৈরী হবে নতুন নতুন কোম্পানী। যেখানে আমার ভাই, বোন, সন্তান ও আত্মীয় স্বজনের কর্মসংস্থান হবে। এদেশ থেকে তখন আর বিদেশে চাকুরীর জন্য যেতে হবেনা। সেখানে গিয়ে লেবার খাটতে হবেনা। আমাদের অর্থনীতি মজবুত হলে তখন বিদেশীরাও আমাদের সম্মান করবে।
তিনি বলেন আমাদের দেশে নিজের টাকায় আজ পদ্মাসেতু তৈরী হয়েছে। এখন সারা পৃথিবীর মানুষ বলছেন বাংলাদেশও এখন পারে।তারাও এগিয়ে যাচ্ছে।
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বামুন্দী শাখায় তাজ ইলেক্ট্রনিক্স (মার্সেল শোরুম) থেকে ফ্রিজ কিনে ঈদ অফারের পুরস্কারপ্রাপ্ত গ্রাহক মোছাঃ সাগরিকা বেগমের হাতে ১০ লক্ষ্য টাকার চেক তুলে দেওয়ার প্রাক্কালে এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় মার্সেল কোম্পানীর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ড. শাখাওয়াত হোসেন, সিনিয়র ডিরেক্টর আরিফুল আম্বিয়া, বামন্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওবায়দুর রহমান কমল, তাজ এন্টারপ্রাইজের স্বতাধীকারী আমিরুল ইসলাম ও জিয়াদুল ইসলাম লিজন, মার্সেলের এরিয়া সেলস ম্যানেজার মো: শামীম উপস্থিত ছিলেন।
বামন্দী বাজার কমিটির সভাপতি ও বামন্দী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল আওয়াল অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
উল্লেখ্য, গাংনী উপজেলার সাহেবনগর গ্রামের সৌদি প্রবাসি সাজ্জাদ হোসেন মার্সেলের বামন্দী শোরুম তাজ এন্টার প্রাইজ থেকে ৩৭ হাজার টাকা দিয়ে একটি ২৫২ লিটারের একটি ফ্রীজ কিনে ১০ লক্ষ টাকা পুরুস্কার পান। প্রবাসী সাজ্জাদ হোসেনের মা মোছাঃ সাগরিকা বেগম ও স্ত্রী রেবেকা খাতুন আজ শুক্রবার (১ জুলাই) দুপুরে বামন্দী শাখায় মার্সেল কোম্পানির এম্বাসেডর নায়ক আমিন খান সাগরিকার হাতে পুরস্কার তুলে দেন ।