ভালোলাগা থেকে মানুষ কত কিছুই না করে। তাই বলে নিজের উচ্চতাকে ছাড়িয়ে যাবে দাড়ি। নিজের উচ্চতা ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি। কিন্তু নিজের উচ্চতার চেয়ে দাড়ি তৈরি করেছেন ৬ ফুট ৪ ইঞ্চি। দীর্ঘ ২২ বছর পরিচর্যা করে তিনি ৬ ফুট ৪ ইঞ্চি উচ্চতার দাড়ি তৈরি করেছেন। তিনি কেন্দ্রীয় জাসদ নেতা কাজী আরেফ হত্যাকান্ডের সময় গুলিবিদ্ধ হন। সেই মামলার প্রধান সাক্ষীও ছিলেন।
বয়স বাড়লেও এখনো কর্মঠ এই মানুষটি। একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সাইড ম্যানেজার হিসাবে দায়িত্ব পালন করছে। বর্তমানে তিনি মেহেরপুর সদরে চাদপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি সাইডের কাজ দেখা শোনা করছেন।
মাহাতাব উদ্দিন লাদেন বলেন, ধর্মীও অনুভুতির প্রতি ভালোবাসা রেখে তিনি এই দাড়ি রেখেছেন। তিনার এই পরিচর্যা অংশ নিয়েছেন তিনার স্ত্রী আশানুর বানুও।
তিনি বলেন, দাড়ি পরির্চযা করে আমার বাড়িওয়া আসানুর বানু। সে দাড়ি আঁচড়িয়ে দেয়, তেল দিয়ে দেয় বিনি করে দেই। তার সেবা যত্ন যথেষ্ট। তার সেবা যন্তে দাড়িটা আমি সুন্দর ভাবে রাখতে পেরেছি।
লাদেন বলেন, আল্লাহও কাছে অনেকে অনেক কিছু চায়। কেউ টাকা চায়, কেউ বাড়ি চায়, কেউ গাড়ি চায়। কিন্তু আমি চেয়েছি দাড়ি। আমার বাপ চাচাদেও নাভিপর্যন্ত দাড়ি ছিলো। সেই দেখে আমার দাড়ি বড় করার সখ ছিলো। আমি ২০০২ সাল থেকে দাড়িকে পরিচর্যার মাধ্যমে বড় করে তুলেছি। এখন ৬ ফুট ৪ ইঞ্চি আছে। প্রতিবছরে একবার করে এক ফুট করে কেটে ফেলি।
চাঁদপুর গ্রামের হাজি কুতুব উদ্দিন বলেন, দেশ বিদেশের কোথাও এত লম্বা দাড়ি আমি দেখিনি। আমি শুনে ছিলাম ৬ ফুট ৪ ইঞ্চি দাড়ি এখানে এসে মেপেও দেখা হলো। আমি তাঁর জন্য আল্লাহ কাছে প্রার্থনা করি আল্লাহ তাকে হায়াত দারাজ করুক এবং তার মনের নেক মাকছুদ আল্লাহ পুরা করুক।
মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি শামিম রেজা, আমার জীবনে আমি যত স্থানে গিয়েছি এত লম্বা দাড়ি আমি কোথাও দেখিনি। শোনার পর দাড়ি দেখতে চাচার কাছে এসেছি।