করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট ১ হাজার ৯৫ জন কোভিড রোগী মারা গেলেন।
এই সময়ে ৩ হাজার ৪৭১ জন শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত হলেন ৮১ হাজার ৫২৩ জন। দেশে একদিনে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যার হিসাবে এটিই সর্বোচ্চ।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫০২ জন এবং মোট সুস্থ হয়েছেন ১৭ হাজার ২৪৯ জন। শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা নিয়মিত ব্রিফিংয়ে জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬ হাজার ৯৫০টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ হাজার ৯৯০টি নমুনা পরীক্ষা করে পরীক্ষা করে ৩ হাজার ৪৭১ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। মোট আক্রান্ত ৮১ হাজার ৫২৩ জন। শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৭১ শতাংশ।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪৬ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে পুরুষ ৩৭ জন ও নারী ৯ জন। এ নিয়ে মোট মারা গেলেন ১ হাজার ৯৫ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫০২ জন এবং মোট সুস্থ হয়েছেন ১৭ হাজার ২৪৯ জন।
শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ২১ দশমিক ১৬ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
ডা. নাসিমা জানান, বয়স বিশ্লেষণে ২১-৩০ বছরের মধ্যে একজন, ৩১-৪০ বছরের মধ্যে ৬ জন, ৪১-৪০ বছরের মধ্যে ৩ জন, ৫১-৬০ বছরের মধ্যে ১২ জন, ৬১-৭০ বছরের মধ্যে ১৫ জন, ৭১-৮০ বছরের মধ্যে ৭ জন, ৮১-৯০ বছরের মধ্যে একজন এবং ১০০ বছরের বেশি একজন মারা গেছেন।
তিনি আরও জানান, বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ঢাকা বিভাগে ১৯ জন, চট্টগ্রামে ১১ জন, সিলেটে ৩ জন, রাজশাহীতে ২ জন, বরিশালে ৩ জন, রংপুরে ৫ জন, খুলনায় একজন এবং ময়মনসিংহে ২ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। এর মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ৩২ ও বাসায় ১৪ জন মারা গেছেন।
প্রসঙ্গত গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। দেশে প্রথম কোভিড-১৯ রোগীশনাক্ত হন ৮ মার্চ এবং এ রোগে আক্রান্ত প্রথম রোগীর মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ।
২৫ মার্চ প্রথমবারের মতো রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) জানায়, বাংলাদেশে সীমিত পরিসরে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বা সামাজিকভাবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হচ্ছে।