স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশে করোনা সংক্রমণ প্রতিনিয়ত বাড়ছে এবং সেটি বাড়ছে দ্রুত গতিতে। গত কয়েকদিন আগেও সংক্রমণের হার ছিল দুই শতাংশের কাছাকাছি। এখন তা বেড়ে প্রায় ১২ শতাংশ হয়েছে। এই হারে বাড়তে থাকলে আমরা ধারণা করছি আগামী কয়েকদিনে হাসপাতালে রোগী বাড়বে। এভাবে বাড়তে থাকলে দেশ বেকায়দায় পড়ে যাবে।
আজ বুধবার রাজধানীর মহাখালীর বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জন (বিসিপিএস) ভবনে অ্যাম্বুলেন্স ও ল্যাপটপ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, হাসপাতালেও রোগী সংখ্যা বাড়ছে। রোগীদের হাসপাতালে আসা শুরু হয়ে গেছে। আর এভাবে হাসপাতালে তিন-চার গুণ রোগী হলে বেকায়দায় পড়তে হবে। হাসপাতাল ব্যবস্থা, চিকিৎসক-নার্সদের ওপর চাপ পড়বে, মৃত্যু হারও বাড়বে। যদিও টিকা নেওয়ার কারণে মৃত্যু হার কিছুটা কম। কিন্তু রোগী যদি লাখ লাখ হয় তাহলে তারা কোথায় থাকবে এই বিষয়গুলো আমাদেরকে মনে রাখতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা ধরে নিই, পাঁচ শতাংশের হাসপাতালে আসতে হয়। এরই মধ্যে হাসপাতালে রোগী আসা শুরু হয়ে গেছে। আমরা দেখব আগামী পাঁচ-সাতদিনের মধ্যেই অনেক রোগী হয়ে যাবে হাসপাতালে। তখন আবার একটা কষ্টকর অবস্থা তৈরি হবে। হাসপাতালে প্রেসার পড়বে, চিকিৎসক-নার্সদের ওপর প্রেসার পড়বে। সিট পেতে সমস্যা হবে, মৃত্যুর হার বেড়ে যাবে।
জাহিদ মালেক বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার ২০ হাজার শয্যা তৈরি রেখেছিল। আরো ২০ হাজার শয্যা প্রস্তুত করা হচ্ছে। যদি ৪০ হাজার রোগী হয়, তাহলে রাখা যাবে। কিন্তু যদি এক লাখ হয়, তাহলে কোথায় থাকবে? এখন মৃত্যুর হার কম আছে, কারণ হলো টিকা নেওয়া আছে। কিন্তু আক্রান্তের সংখ্যা যদি তিনগুণ-চারগুণ হয়ে যায়, তাহলে কিন্তু বেকায়দায় পড়তে হবে।
আগামীকাল থেকে কোনো প্রোগ্রাম হবে না, এটাই সরকারের নির্দেশনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ জনগণের সেবা দিতে পারে, চিকিৎসা দিতে পারে, সমস্যাগুলো তুলে ধরতে পারে। রাস্তাঘাটে যে প্রোগ্রাম হয় সেটা তো স্বাস্থ্যবিভাগ আটকাতে পারবে না। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় পরামর্শ দিতে পারবে। সেটার বাস্তবায়নের জন্য অন্যান্য মন্ত্রণালয় রয়েছে।
দেশে ওমিক্রনের কমিউনিটি ট্রান্সমিশন শুরু হয়েছে মন্তব্য করে জাহিদ মালেক বলেন, দেশে এখন ১৫ থেকে ২০ শতাংশ করোনা রোগীই ওমিক্রনে আক্রান্ত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।