করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে ৩ হাজার ১৯০ জন শনাক্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
দেশে একদিনে আক্রান্তের সংখ্যার হিসাবে এটি সর্বোচ্চ।
এ নিয়ে দেশে মোট কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হলেন ৭৪ হাজার ৮৬৫ জন এবং মারা গেলেন ১ হাজার ১২ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫৬৩ জন এবং মোট সুস্থ হয়েছেন ১৫ হাজার ৮৯৯ জন।
বুধবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা নিয়মিত ব্রিফিংয়ে জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬ হাজার ৯৯৪টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ হাজার ৯৬৫টি নমুনা পরীক্ষা করে পরীক্ষা করে ৩ হাজার ১৯০ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। মোট আক্রান্ত ৭৪ হাজার ৮৬৫ জন।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৩৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৩৩ জন ও নারী ৪ জন। এ নিয়ে মোট মারা গেলেন ১ হাজার ১২ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫৬৩ জন এবং মোট সুস্থ হয়েছেন ১৫ হাজার ৮৯৯ জন।
শনাক্তের তুলনায় সুস্থতার হার ২১ দশমিক ২৪ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
ডা. নাসিমা জানান, বয়স বিশ্লেষণে ১১-২০ বছরের মধ্যে একজন, ৩১-৪০ বছরের মধ্যে ৩ জন, ৪১-৪০ বছরের মধ্যে ৫ জন, ৫১-৬০ বছরের মধ্যে ১০ জন, ৬১-৭০ বছরের মধ্যে ১০ জন, ৭১-৮০ বছরের মধ্যে ৭ জন এবং ৮১-৯০ বছরের মধ্যে একজন মারা গেছেন।
তিনি আরও জানান, বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ঢাকা বিভাগে ২৫ জন, চট্টগ্রামে ৭ জন, সিলেটে একজন, রাজশাহীতে একজন, বরিশালে ২ জন ও ময়মনসিংহে একজন মৃত্যুবরণ করেছেন। এর মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ২৫ ও বাসায় ১২ জন মারা গেছেন।
প্রসঙ্গত গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। দেশে প্রথম কোভিড-১৯ রোগীশনাক্ত হন ৮ মার্চ এবং এ রোগে আক্রান্ত প্রথম রোগীর মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ।
২৫ মার্চ প্রথমবারের মতো রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) জানায়, বাংলাদেশে সীমিত পরিসরে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বা সামাজিকভাবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হচ্ছে।