চুয়াডাঙ্গার দর্শনা জয়নগর আন্তর্জাতিক সীমান্তে দু’দেশের বিজিবি-বিএসএফ সীমান্তরক্ষি বাহিনীর মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ বৈঠকে অবৈধভাবে সীমান্ত প্রবেশের অপরাধে বাংলাদেশের কারাগারে ১৫ মাস কারাভোগ শেষে মুক্ত হয় ভারত মহাদেশের নদীয়া জেলার ধানতলা থানাধীন চাঁদপুর গ্রামের যুবতী মনিরা খাতুন ওরফে আসমা (২০)।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে দর্শনা জয়নগর আন্তর্জাতিক সীমান্তে দু’দেশের বিজিবি-বিএসএফ সীমান্তরক্ষি বাহিনীর মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এ পতাকা বৈঠকে দু’দেশের সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন শেষে পরিবারের উপস্থিতিতে তাকে ভারতীয় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বাংলাদেশের ময়মনসিংহের এক ছেলের প্রেমের টানে ভারত হতে বাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করলে তাকে আটক করে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ভারত মহাদেশের নদীয়া জেলার ধানতলা থানাধীন চাঁদপুর গ্রামের আইয়ুব আলী বিশ্বাসের মেয়ে ও বগুলা শ্রী কৃষ্ণ কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী মনিরা খাতুন ওরফে আসমা।
সে ২০২০ সালের ২৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ভারত হতে সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার মাটিলা প্রবেশের দায়ে আসমাকে আটক করে বিজিবি।
পরে তাকে থানা পুলিশের মাধ্যমে আদালতে হাজির করলে ৩ মাসের আটকাদেশ দেন ঝিনাইদহ নারী ও শিশু আদালতের বিচারক। তার কারাভোগের মেয়াদ শেষ হলেও আইনি জটিলতায় দীর্ঘদিন আটক ছিল সে।
তার সকল জটিলতা কাটিয়ে কারাগার হতে মুক্ত হওয়ায় ঝিনাইদহ কারাগারের কারারক্ষির সহায়তায় দর্শনা থানা পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয় দর্শনার জয়নগর সীমান্তে।
সেখানে নেওয়ার পর বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের ৭৬নং মেইন পিলারের নিকট জিরো পয়েন্টে দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে পতাকা বৈঠকে সকল প্রক্রিয়া শেষে তার পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়।
এ সময় বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন দর্শনা চেকপোস্টের ইনচার্জ এসআই এস,এম আবদুল আলীম, দর্শনা থানার এসআই নীতিশ বিশ্বাস, দর্শনা বিজিবি কোম্পানী কমান্ডার নায়েব সুবেদার জহির উদ্দিন বাবর, চেকপোস্ট বিজিবির নায়েব সুবেদার আলাউদ্দিন ও মানবাধিকারকর্মী আতিয়ার রহমান।
ভারতের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন নদীয়া জেলার কৃষ্ণগঞ্জ থানার পরিদর্শক বাবিন মুখার্জি, গেদে চেকপোস্টের ইমিগ্রেশন অফিসার ইন্সপেক্টর সন্দীপ তিওয়ারি, গেদে আইসিপির কোম্পানি কমান্ডার সুনীল পায়েল, কৃষ্ণগঞ্জেরর ডিআইও স্বাধীন মণ্ডল ও মানবাধিকারকর্মী চিত্ত রঞ্জন দে।