পাসগান মূলত এক ধরনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অবশ্য হ্যাকারদের জন্য অনেক কার্যকর। নতুন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাটি প্রায় ৫১ শতাংশ পাসওয়ার্ড অল্প সময়ে হ্যাক করতে পারে বলে জানা গেছে।
পাসগান মূলত এক ধরনের কম্বিনেটর অ্যাটাকের সহায়তা নেয়। এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রচলিত ব্রুট ফোর্স মেথডের মাধ্যমেই কাজ করে। পাসগান একটি নিরপেক্ষ নেটওয়ার্ক তৈরি করে মেশিনকে প্রশিক্ষণ দিতে থাকে। ফলে ডাটা বিশ্লেষণ ও ব্যাখ্যা করা সহজ হয়ে যায়। কারো পাসওয়ার্ড যদি কোথাও উন্মুক্ত করা থাকে তাহলে এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তা জেনারেট করে নিতে পারে। অথবা অনুমান করেও একটি পাসওয়ার্ড বসিয়ে নির্ভুলভাবে হ্যাক করার চেষ্টা করে।
সম্প্রতি একটি সাইবারসিকিউরিটি ফার্ম সম্প্রতি ১৫ মিলিয়ন পাসওয়ার্ড দিয়ে এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ওপর পরীক্ষা চালিয়েছে। ফলাফল সত্যিই উদ্বেগজনক। মাত্র ১ ঘণ্টায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাটি ৬১ শতাংশ পাসওয়ার্ড বের করেছে এবং ১ দিনে তা ৭১ শতাংশ সফলতা পেয়েছে। এক মাসের মধ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাটির সফলতার হার ৮১ শতাংশ হয়েছে। গবেষণার জন্য ৭ অক্ষরের পাসওয়ার্ড নানা সিম্বল, প্রতীক বা সংখ্যা দিয়ে নির্ধারণ করা হলেও ৬ মিনিটে তা বের করে ফেলছে পাসজ্ঞান। পাসওয়ার্ড যত বড় হবে পাসগানের সময় তত বেশি লাগবে। ১৮ সংখ্যার পাসওয়ার্ড হ্যাক করতে অবশ্য অনেক সময় লাগবে এটির।
তবে ছোটখাট পাসওয়ার্ডের ক্ষেত্রে হ্যাক করার এই সময় উদ্বেগের বার্তা দিচ্ছে। যত সময় যাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাটি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নিজেকে আরও উন্নত করবে। হ্যাকারদের জন্য এটি সাইবার অ্যাটাকের একটি বড় অস্ত্র হয়ে উঠতেই পারে। ২০১৭ সালে এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাটি প্রথম উন্মুক্ত হয়। জেনারেটিভ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এই সময়ে এই টুলটি কতটা গুরুত্ব পাবে তা এখন আন্দাজ করা কঠিন কিছুই নয়। ফলে ওয়েবসাইট, পাসওয়ার্ড এমনকি ব্যাংকের ইনফরমেশনও এখন নিরাপদ থাকছে না। তাই এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়াটাই স্বাভাবিক।
সূত্র: ইত্তেফাক