জয়পুরহাটের কালাইয়ে নবান্ন উৎসব উপলক্ষ্যে আয়োজিত মাছ মেলাকে ঘিরে এলাকাবাসীর মনে উৎসব আর আনন্দের আমেজ বিরাজ করছে।
মাছ মেলায় বোয়াল, গ্লাসকার্প, রুই, সিলভার, কাতলা, মৃগেল, ব্রিগেট, বাগাড়সহ রকমারি প্রজাতির মাছ দিয়ে পসরা সাজান ব্যবসায়ীরা। মেলায় আসা বড় মাছগুলোর ওজন ছিল প্রায় ১৫ থেকে ২৫ কেজি। উৎসবমুখর পরিবেশে চলে মাছ বেচাকেনা।
বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই কালাই পৌরসভার পাঁচশিরাবাজারে বসা রকমারি দোকানগুলোতে চলে মাছ বেচাকেনার ধুম। মাছের মেলাটিকে ঘিরে এই দিনে নিকটবর্তী উপজেলাসহ ২০-২৫টি গ্রাম-মহল্লার মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যায়। তাই এলাকার ধনী, গরিব সব শ্রেণিপেশার মানুষ এ দিন সাধ ও সাধ্য অনুযায়ী পছন্দের মাছ কিনে বাড়ি ফেরেন।
জানা গেছে, প্রায় ১৫ বছর আগে থেকে প্রতি বছরের মতো এবারেও নবান্ন উপলক্ষ্যে বসা মেলায় বিভিন্ন এলাকা থেকে নারী-পুরুষ-শিশুসহ মাছ কিনতে আসেন। বোয়াল, গ্লাসকার্প, রুই, সিলভার, কাতলা, মৃগেল, ব্রিগেট, বাগারসহ রকমারি প্রজাতির মাছ দিয়ে পসরা সাজান ব্যবসায়ীরা। মেলায় ওঠা বড় মাছগুলোর ওজন ছিল প্রায় ১৫ থেকে ২৫ কেজি।
মেলায় মাছ কিনতে আসা পার্শ্ববর্তী ক্ষেতলাল উপজেলার থানা গেটের রাস্তার সামনে ফ্রিজ ব্যবসায়ী মাইনুর রহমান, কালাই উপজেলার পাঁচগ্রামের এলাহি, হাতিয়রের দেলোয়ার, মাদারপুরের আবুল কালাম ধলু, কাতাইলের বিপুল, পৌরসভার মহল্লার সোহেল, কর্মকার পাড়ার সুমীর কুমার কুণ্ডু, তালুকদারপাড়ার শামিম তালুকদারসহ অনেকের সঙ্গে কথা হয়।
তারা জানান, নবান্ন উৎসবকে কেন্দ্র করে বসা এ মাছ মেলায় প্রচুর আমদানি সত্ত্বেও দাম চাওয়া হয় অনেক বেশি।
মাছ ব্যবসায়ী রেজাউল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, আবদুল লতিফ, হাসান, বিমল, সাজু, শহিদুল, সাদ্দাম, মোরশেদ ও সাইদুলসহ অনেকে জানান, মাছের মেলায় প্রচুর লোক সমাগম হলেও বেচাকেনা সে তুলনায় কম।
তার পরও বেশি লাভেরই প্রত্যাশা করছেন তারা।
মাছ চাষ ব্যবসায়ী আব্দুল আলিম, লেবু সরকার, মাহমুদুল হাসান, মাহবুবসহ অনেকে জানান, খাদ্যদ্রব্য দাম যেভাবে দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে সে ক্ষেত্রে তারা বাজারমূল্য না পাওয়ায় অনেক ব্যবসায়ী ধীরে ধীরে এ ব্যবসা থেকে বিমুখ হতে পারে। তাই সরকারের কাছে মাছের খাদ্যদ্রব্যের দিকে নজর দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন।