শুরুতে অসাধারণ বোলিংয়ের পরও বাংলাদেশকে ১৫৫ রানের চ্যালেঞ্জিং টার্গেট দেয় আফগানিস্তান। সেই রান তাড়া করতে গিয়ে শুরতেই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। তবে দুই তরুণ তুর্কি তাওহিদ হৃদয় ও শামিম পাটোয়ারির ব্যাটে লড়াই করে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। শেষ ওভারে জানাত করিমের নাটকীয় হ্যাটট্রিকের পরও ২ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।
১৫৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দলীয় ৬ রানে ৫ বলে ৪ রান করে ফজলহক ফারুকির বলে বোল্ড হন ওপেনার রনি তালুকদার।
রনির বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন নাজমুল হাসান শান্ত। শান্তকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট করতে থাকেন লিটন দাস। তবে দলীয় ৩০ রানে ১২ বলে ১৪ রান করে আউট হন শান্ত। স্পিনার মুজিবের বলে বোল্ড হন তিনি।
এরপর দলীয় ৩৯ রানে আউট হন লিটন। ১৯ বলে ১৮ রান করে সাজঘরে ফিরে যান তিনি। লিটনের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন তাওহিদ হৃদয়।
ইনিংসের ৭ ওভার ২ বলের পর শুরু হয় বৃষ্টি। বৃষ্টি থামার পর আবার খেলা শুর হয়। এরপর কিছুটা রানের গতি বাড়িয়ে ব্যাট করতে থাকেন সাকিব। তবে দলীয় ৬৪ রানে ১৭ বলে ১৯ রান করে আউট হন সাকিব।
সাকিবের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন শামিম পাটোয়ারি। হৃদয় ও শামিম মিলে ৭৩ রানের জুটি গড়েন। তবে দলীয় ১৩৭ রানে ২৫ বলে ৩৩ রান করে আউট হন শামিম।
এরপর মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশকে জয়ের দিকে নিয়ে যায় হৃদয়। শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন হয় ৬ রান। হাতে ছিল ৫ উইকেট। ওভারের প্রথম বলে ৪ মারেন মিরাজ। তবে এরপর টানা তিন বলে মিরাজ, তাসকিন ও নাসুমের উইকেট তুলে নিয়ে নাটক জমিয়ে তুলে আফগান পেসার জানাত করিম।
শেষ দুই বলে প্রয়োজন হয় ২ রান। এ সময় ক্রিজে এসে চার মেরে সব নাটকের অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেন শরিফুল ইসলাম। হৃদয় ৩২ বলে ৪৭ ও শরিফুল ১ বলে ৪ রানে অপরাজিত থাকেন।
সূত্র: ইত্তেফাক