ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পুটিয়া গ্রামের স্থানীয় মসজিদে নামাজের সময় ইকামত দেওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় মোদচ্ছের হোসেন (৫০) নামের এক কৃষক নিহত ও তারই চাচাত ভাই ওহিদ হোসেন এবং ভাতিজা ইউনুস হোসেন আহত হয়েছেন। নিহত মোদাচ্ছের একই গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে।
শুক্রবার (৩০ জুলাই) সকাল ৮টার দিকে পুটিয়া বউ বাজার এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
ঝিনাইদহ সদর সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাশার জানান, ঝিনাইদহের পুটিয়া গ্রামের মসজিদে গতরাতে এশার নামাজের সময় মুয়াজ্জিন না থাকার কারণে স্থানীয় মুসল্লী জাহিদ হোসেন ইকামত দেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় মাতব্বর জাফর হোসেনের সাথে মোদাচ্ছেরের তর্ক-বির্তক হয়। গত রাতের ঘটনার জের ধরে শুক্রবার (৩০ জুলাই) সকালে ঐ গ্রামের বউ বাজারে মোদাচ্ছের ও তার ভাই-ভাতিজা গল্প করছিলো। এ সময় জাফর গ্রুপের লোকজন এসে রামদা-চাপাতি নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এ হামলায় ঘটনাস্থলে কৃষক মোদাচ্ছের হোসেন নিহত ও তার চাচাত ভাই ওহিদ হোসেন এবং ভাতিজা ইউনুস আলী মারাত্বক জখম হন।
তিনি আরও জানান, হামলার পর স্থানীয় লোকজন আহতদের ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। নিহতের মরদেহ পুলিশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় দু-গ্রুপের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। জড়িতদের আটক করতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, অতর্কিতভাবে এই গ্রামের জাফর গ্রুপের লোকজন এসে গ্রাম্য অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে মোদাচ্ছেরকে হত্যা করেছে ও তারই ভাই-ভাতিজাকে কুপিয়ে জখম করেছে। তারা এ ঘটনার সাথে জড়িতদের শাস্তির দাবি করেছেন।
এদিকে সদর হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডাঃ ফাল্গুনি রানী সাহা জানান, আজ সকালে পুটিয়া গ্রাম থেকে তিনজন জখমী রোগী আসলে পথেই মোদাচ্ছের হোসেনের মৃত্যু হয়েছে। বাকি দুজনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাদের অবস্থা এখন কিছুটা উন্নতির দিকে।