নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও নওগাঁ-৬ (আত্রাই-রানীনগর) আসনের এমপি ইসরাফিল আলম ১১ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর অবশেষে মারা গেলেন।
সোমবার সকাল সোয়া ৬টার দিকে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি মৃত্যুবরণ করেন (ইন্না লিল্লাহি … রাজিউন)।
তীব্র শ্বাসকষ্ট নিয়ে তিনি গত ১৭ জুলাই থেকে স্কয়ার হাসপাতালে ভেন্টিলেশনে ছিলেন। তিনি স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
রানীনগর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আনোয়ার হোসেন হেলাল যুগান্তরকে বলেন, গত ৬ জুলাই অসুস্থতা নিয়ে তিনি প্রথম ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তখন তার করোনা ধরা পড়ে। সেখানে কিছু দিন চিকিৎসা নেয়ার পর তিনি বাড়ি চলে যান। পরে পরীক্ষা করে করোনা নেগেটিভ আসে। এ অবস্থায় গত ১৭ জুলাই আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত শুক্রবার রাত ১১টা দিকে তার প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে তাকে ভেন্টিলেশন সাপোর্ট দেয়া হয়।
তিনি বলেন, বাড়িতে নিয়ে আসার পর ১৭ জুলাই তার কাশির সঙ্গে রক্ত আসে। ওই দিন আমরা তাকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন। সোমবার সকালে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মারা যান।
উল্লেখ্য, ১৯৬৭ সালে রানীনগর উপজেলার গোনা ইউনিয়নের ঝিনা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়ে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন তৎকালীন ঢাকা মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ইসরাফিল আলম। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী আলমগীর কবীরের ছোট ভাই বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন বুলু।
এর পর ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এবং একাদশে সাবেক প্রতিমন্ত্রী আলমগীর কবীরকে পরাজিত করে নির্বাচিত হন ইসরাফিল আলম।
সূত্র- যুগান্তর