করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বুধবার (৮ এপ্রিল) নিউইয়র্কে বাংলাদেশি কৃষিবিদ শাহানা আহমেদ তালুকদার আঁখি (৪৫), এডভোকেট সরোয়ার হোসেন (৭১), নিউজার্সির প্যাটারসনে সিলেটের বদরুল আলম (৪৩), সুনামগঞ্জের মইনুল হক জুয়েল (৪৫), সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার ভাদেশ্বরের শামীম আহমেদ (৪১), ভোলার সাবেক কমিশনার আবুল কাশেম কাজল (৫৪) ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাহে রাজেউন)।
এরা সকলেই বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন বলে হাসপাতালের উদ্ধৃতি দিয়ে স্বজনেরা জানান।
৯ এপ্রিল বৃহস্পতিবার মারা গেছেন ব্রঙ্কসে একটি হাসপাতালের সংক্রমণ বিষয়ক বিশেষজ্ঞ-চিকিৎসক ড. রেজা শাহ চৌধুরী (৫৭)। একইদিন ব্রঙ্কসের নর্থ সেন্ট্রাল হাসপাতালে মারা গেছেন ড. মোহাম্মদ ইফতেখার (৫৫) নামক আরেক বাংলাদেশি। পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় রোগী থেকে তাদের দেহে করোনা ছড়িয়ে পড়েছিল বলে হাসপাতালের উদ্ধৃতি দিয়ে কমিউনিটি লিডার মোহাম্মদ এন মজুমদার জানান।
এ নিয়ে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত ৯৫ বাংলাদেশী মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন মিশিগান, নিউজার্সি এবং নিউইয়র্ক স্টেটে।
করোনায় মৃত্যুর মিছিলে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সংখ্যা ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধির সংবাদে উদ্বেগ এবং নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনার পাশাপাশি স্বজনের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে এ মোমেন। ঢাকা থেকে তিনি এ সংবাদদাতার মাধ্যমে প্রবাসীদের খোঁজ-খবরও নিয়েছেন। সকলকে সতর্কতার সাথে কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী ঘরে থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী নিউইয়র্কে বাংলাদেশি পুলিশ অফিসার এসোসিয়েশন (বাপা)’র সভাপতি লে. সুজাত খান, নিউইয়র্কে বাংলাদেশ সোসাইটির বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান এম আজিজ, নিউ হ্যামশায়ার স্টেটের রিপ্রেজেনটেটিভ (রিপাবলিকান) আবুল খান (পিরোজপুর) এবং তার স্ত্রী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সাথে যুদ্ধ করছেন বলে জানা গেছে।
অপরদিকে, কমিউনিটি লিডার সাহাবউদ্দিন (সিলেট) করোনাকে পরাস্থ করে ১৪ দিন পর হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন। জর্জিয়া রাজ্য সিনেটর (ডেমক্র্যাট) শেখ রহমান ১৪দিন কোয়ারেন্টাইনে থেকে সুস্থ হয়ে কাজকর্ম করেছেন।
সুত্র-বাংলাদেশ প্রতিদিন