ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় আনুষ্ঠানিকভাবে চারদিনের যুদ্ধ বিরতি শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে। স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে এ বিরতি কার্যকর হয়েছে বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিকি সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।
চারদিনের এ যুদ্ধবিরতি সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ করতে কাতারের দোহাতে একটি অপারেশন রুম সেট করা হয়েছে। সেখান থেকে গাজার রিয়েল-টাইম তথ্য পাবেন পর্যবেক্ষকরা। ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর সঙ্গে তাদের সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে।
যুদ্ধবিরতি কি ভাগ্য ফেরাবে ফিলিস্তিনের? বৃহস্পতিবারও ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার জাবালিয়া শরণার্থীশিবিরে জাতিসংঘ পরিচালিত একটি বিদ্যালয়ে ইসরায়েলের হামলায় কমপক্ষে ২৭ জন নিহত হয়েছেন। এ হামলায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৯৩ জন। এ খবর প্রকাশ করেছে ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস অব ইসরায়েল। গাজা উপত্যকার সবচেয়ে বড় শরণার্থীশিবির জাবালিয়া। ওই শিবিরের একটি হাসপাতালে কর্মরত এক চিকিৎসক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, হামলার শিকার হওয়া বিদ্যালয়টিতে কয়েক হাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছিল।
এসব কেবল আজকের কথা না। দশকের পর দশক ফেলিস্তিনে হামলা করেছে, দখলদারিত্ব প্রতিষ্ঠার চেস্টা করে আসছে ইসরায়েল। আর তাতে যুক্তরাস্ট্রের প্রত্যক্ষ মদদ দিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাস্ট্র। সেখানে তাদের মানবাধিকার হরণ হয় না।
এ বছর শুরুতে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে গতানুগতিক রিপোর্ট দেয় যুক্তরাষ্ট্র। প্রতিবছরের মতো এবারেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানবাধিকার নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, এখানে শ্রমিকের অধিকার ক্ষুণ্ন হচ্ছে, শিশুশ্রম রয়েছে। রিপোর্টের নির্বাহী সারসংক্ষেপে বাংলাদেশে ২০১৩ সালের মানবাধিকার চর্চা সম্পর্কে বলা হয়েছে- মানবাধিকার লংঘনের ঘটনাবলীর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল যথেচ্ছ গ্রেফতার, অনলাইনে মত প্রকাশে বাধা এবং অনুন্নত কর্ম পরিবেশ ও শ্রম অধিকারহীনতা।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন জানিয়েছেন, বিশ্বজুড়ে যারা শ্রমিক অধিকার হরণ করবে, শ্রমিকদের ভয়ভীতি দেখাবে এবং আক্রমণ করবে তাদের উপর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞাসহ নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা দেবে যুক্তরাষ্ট্র।
অথচ, প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের প্রকোপে যুক্তরাষ্ট্রে ২০২০ সালে শুধু এপ্রিলেই ২ কোটি ৫ লাখ মানুষ চাকরি হারিয়েছেন। এতে দেশটির বেকারত্বের হার বেড়ে ১৪ দশমিক ৭ শতাংশ হয়। এ নিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। যদিও বাংলাদেশ সরকার করোনা ভাইরাসকালে যেভাবে সামাল দিয়েছে সবকিছু তা বিশ্বে নজির তৈরী করেছে।
যুক্তরাষ্ট্র সবসময় একচোখা নীতি দিয়ে মানবাধিকার ইস্যুটিকে প্রতিষ্ঠা করেছে। গত আগস্ট মাসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিসকে হুমকি দেয়া এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। উটাহ রাজ্যে ওই ব্যক্তির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে গুলি করে হত্যা করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই’র সদস্যরা। সেসময় কোন বিচারিক পদ্ধতি নিয়ে যুক্তরাস্ট্র আলাপ করেনি। তার বাণিজ্য চালিয়ে যেতে, আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে যতটুকু লাগে ঠিক ততটুকুতে সে তার কাজ পরিচালনা করে। যে কারনে যুদ্ধে শিশু মৃত্যু তার চোখে পড় না, যে কারণে শ্রমিক ছাটাই তার দেশে হলে ক্ষতি নেই স্টেটমেন্ট দেয় কিন্তু বিশ্বের অন্য দেশকে হুমকি দেয় শ্যাংসনের।