গাংনীতে রাস্তা নির্মাণ কাজে আবারও অনিয়ম করায় স্থানীয়র কাজ বন্ধ করে দিয়েছে।
গত রবিবার বিকেলে অনিয়মের অভিযোগে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রতিবাদ জানালে ঘটনাস্থলে পৌরসভার প্রকৌশলী জামিরুল ইসলাম আসে এবং ঠিকাদারের লোকজনকে নিম্মমানের ইট, খোয়া বালু দিয়ে কাজ করতে নিষেধ করলেও তারা তার কথা অগ্রাহ্য করে কাজ চালিয়ে যেতে থাকে।
এনিয়ে গতকাল সোমবার স্থানীয় “মেহেরপুর প্রতিদিন” প্রত্রিকা ও মেহেরপুর প্রতিদিন অনলাইনে নিউজ প্রকাশ হয়। নিউজ প্রকাশের পরও কাজে অনিয়ম হওয়ায় স্থানীয়রা আবারও সাংবাদিকদের মাধ্যমে “মেহেরপুর প্রতিদিন” অনলাইনের মাধ্যমে সরাসরি তাদের প্রতিবাদ বিক্ষোভের কথা জানান।
তবে পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাম রাস্তার কাজে নিম্নমানের মালামাল ব্যবহার কোনভাবেই মেনে নেওয়া হবেনা বলে সাংবাদিকদের জানান। তিনি সাংবাদিকদের বলেন ঢাকায় থাকার কারণে তারা এই সুযোগ নিয়ে কাজে ব্যপক অনিয়ম করে যাচ্ছে। তিনি বলেন আমার স্টাফদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে ঠিকাদার রাস্তার কাজে কোন প্রকার অনিয়ম করতে না পরে সেদিকে খেয়াল রাখতে।
পৌর মেয়র ও পৌর প্রকৌশলীর নির্দেশনার পরও তারা পরের দিন গতকাল সোমবার (২৫-১১-২০১৯ ইং) সকাল থেকে আবারও নিম্নমানের মালামাল রাস্তার কাজের জন্য নিয়ে আসে।
এনিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে কৌতুহল দেখা দেয় সাথে সাথে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে ও কাজ বন্ধ করে দেয়।
স্থানীয় মৃত আব্দুল গনির ছেলে মতিয়ার রহমান, মৃত দবিরুদ্দিনের ছেলে নাজমুল সহ অনেকেই জানান, প্রায় ১১শ’৪০ মিটার পাকা রাস্তা তারা করছে রাস্তাটি অনেক প্রত্যাশীত রাস্তা।
এখানে আমরা বারবার ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে অনুরোধ করেছি রাস্তার কাজটি যেন ভালভাবে হয়। স্থানীয়রা ঠিকাদারদের আরও অনুরোধ করে রাস্তার কাজে যদি কেউ অন্যায় দাবি বা চাঁদা দাবি করে তাহলে আমাদের জানালে তার প্রতিকার আমরা করব।
তারপরও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান স্থানীয়দের কথায় কর্ণপাত করেননি। স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন কাজের নামে সরকারি টাকার হরিলুট চলছে এখানে। তারা এই হরিলুট হতে দেবেনা বলেও জানান।
জানা গেছে, প্রায় ৯৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ১১শ’৪০ মিটার রাস্তাটি গাংনী পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড শিশিরপাড়া এলাকা থেকে ১নং ওয়ার্ড বাঁশবাড়িয়া গোরস্থান পাড়ার মোড় পর্যন্ত হওয়ার কথা।
এ কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কুষ্টিয়ার ত্রিমহনী বারখাদা এলাকার রোমনা এন্টার প্রাইজের নামে ঠিকাদার ফারুক হোসেন বাস্তবায়ন করছেন। স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন কাজের বিষয়ে ঠিকাদারের লোকজনকে বলতে গেলেই তারা স্থানীয়দের উপর চড়াও হয়ে ওঠে।
স্থানীয় বাসিন্দারা ধারণা করছেন স্থঅনীয় প্রভাবশালি নেতাবর্গরা ঠিকাদারদের সাথে হাত মিলিয়ে রাস্তার কাজে অনিয়ম করছে।
জানতে চাইলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক ফারুক হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, যেহেতু স্থানীয়রা আপত্তি করেছেন আমরা নিম্নমানের ইট দিয়ে আর কোন কাজ করবনা। আগামী কাল ঐ এলাকার ইটভাটা ঘুরে দেখব যদি নতুন ভাল মানের নতুন ইট পাওয়া যায় তবেই কাজ করব।
ভাল মানের ইট না পাওয়া পর্যন্ত আমরা আর কাজ করবনা। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন গতকাল মাত্র চার গাড়ি নিম্নমানের ইট ব্যবহার করা হয়েছে। আজকে থেকে ওখানে আর কোন প্রকার নিম্নমানের ইট ব্যবহার করা হবেনা।
-এ সিদ্দিকী শাহীন, গাংনী