বিশ্বের প্রায় ২০০ দেশে ৮ ফেব্রুয়ারি পালিত হয় ‘নিরাপদ ইন্টারনেট দিবস’। বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় মঙ্গলবার এ দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।
মূলত সাইবার অপরাধ, অনলাইনে হয়রানি, সোশ্যাল নেটওয়ার্কিংয়ে নিরাপত্তা, শিশুদের ক্ষতিকর ইন্টারনেট থেকে সুরক্ষা, কিশোর ও যুবসমাজকে দায়িত্বসম্পন্ন ইন্টারনেট ব্যবহারে উৎসাহিত করা, পরিচ্ছন্ন ইন্টারনেট প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে বিশ্বজুড়ে এ দিবসটি পালিত হয়ে থাকে। প্রতি বছর এ দিবসটি পালনে বিশ্বব্যাপী নেতৃত্ব দেয় ইনসেফ নেটওয়ার্ক।
২০০৪ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন সেইফবর্ডার প্রকল্পের অংশ হিসাবে এ দিবসটির যাত্রা শুরু। পরের বছর থেকে ইনসেইফ নেটওয়ার্ক দিবসটি উদযাপনের দায়িত্ব নেয়। বাংলাদেশে সাইবার অপরাধ, ইন্টারনেট হয়রানির বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা সচেতনতার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ করে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশন (সিসিএ ফাউন্ডেশন)।
বিশ্বব্যাপী বাংলাভাষীদের মধ্যে এ ধরনের সচেতনতা তৈরি করতে সিসিএ ফাউন্ডেশন কর্তৃক যে ক্যাম্পেইন পরিচালনা হয় সেটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘দেখা মাত্রই ক্লিক নয়, যাচাই ছাড়া শেয়ার নয়’ ক্যাম্পেইন।
সচেতনতা তৈরির অংশ হিসাবে প্রত্যেক ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর কাছে ‘দেখা মাত্রই ক্লিক নয়, যাচাই ছাড়া শেয়ার নয়’-এর সাধারণ বার্তা পৌঁছে দিতে কাজ করছে সিসিএ ফাউন্ডেশন। অর্থাৎ ইন্টারনেটে কোনো আকর্ষণীয় পোস্ট দেখা মাত্রই সঙ্গে সঙ্গে তাতে ক্লিক না করে থামতে হবে, তারপর ভাবতে হবে বিষয়টি আসলে কী এবং এরপর নিরাপদ মনে হলে সেটিতে ক্লিক করা যাবে বা সেটির সঙ্গে সংযুক্ত হতে হবে। নয়তো ভুল করে ক্ষতিকর কোথাও ক্লিক করে ভয়াবহ বিপদের মুখে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এছাড়াও ইন্টারনেটে কোনো কনটেন্ট নিজের পরিচিতজনদের মধ্যে শেয়ার করার আগেও যাচাই করে নিতে হবে সেটির মূল উৎস। তাহলে অবচেতন মনে কোনো ভুল তথ্য ছড়িয়ে সমাজের ক্ষতি করা থেকে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী বিরত থাকতে পারবেন।
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ডিজিটাল লিটারেসি বা জ্ঞানের অভাবের কারণেই মূলত অনিরাপদ হয়ে উঠছে ইন্টারনেট। কখনো অপরাধী অজ্ঞতাবশত অন্যের জন্য ক্ষতিকর কনটেন্ট ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিচ্ছেন, আবার কখনো ভুক্তভোগী না জেনেই নিজের ইন্টারনেট ব্যবহারকে অনিরাপদ করে তুলছেন।